চাইনিজ প্রতিষ্ঠান সিইপিটি নির্মাণের ক্ষেত্রে কন্টাক্ট অনুসারে নির্মাণ করেনি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারিখাতের উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বুধবার (৬ মার্চ) বিকেলে সাভারের হরিণধারায় বিসিক শিল্পনগরী (ট্যানারি) পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, সমস্যাটা বোঝার জন্য আমরা সরেজমিনে এসেছিলাম। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, সিইটিপিটা চাইনিজরা করেছিলেন। আমরা যে কন্টাক্ট তাদের দিয়েছিলাম তারা সেই কন্টাক্ট অনুসারে সিইপিটিটা নির্মাণ করেনি। তারা কন্টাক্ট অনুসারে কাজ না করার কারণে তাদেরকে আমরা টাকা পেমেন্ট করিনি। এখন সমস্যা হয়ে গিয়েছে যে কন্টাক্ট অনুযায়ী যে কাজ করার কথা ছিল যেহেতু তারা করেনি, তাই সিইপিটির যে পারফম্যান্সটা হওয়ার কথা ছিল তা হচ্ছে না। এরমধ্যে সিইপিটি যেহেতু নির্মাণ হয়ে গিয়েছে তা ফেলেও দেওয়া যায় না। আজ আমরা সবার কাছ থেকে শুনেছি ও আলাপ-আলোচনা হয়েছে। তবে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। এই সিইপিটির সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায় ও কোরবানির আগে এই সিইপিটি দিয়ে কি কি করতে পারি এবং কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় কোম্পানির এমডি কয়েকটা প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন  যদি করা যায় তবে কোরবানির সময় যে সমস্যাটা হবে তা কিছুটা কমবে বলে জানান তিনি।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের আরও জানান, কোনো ট্যানারি মালিক যদি ইচ্ছে করে নিজের অর্থায়নে এখন সিইপিটি নির্মাণ করতে পারবে। যদিও অতিতে এটা ট্যানারি মালিকরা পারতেন না। এখন এই সুবিধাটা দেওয়া হচ্ছে।

এসময় পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, পরিবেশ নিয়ে মালিকদের সমস্যা শুনেছি। মালিকদের সমস্যাটা হচ্ছে পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে যদি সার্টিফিকেশন না পায় তাহলে তো তারা সবকিছু করতে পারছে না। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কথা হচ্ছে, তারা আমাদের মান রক্ষা না করলে, সেটা আমরা কীভাবে সার্টিফাই করবো। সেখানে পরিবেশ মন্ত্রী কিছুটা মানের দিকে সহনশীল রেখে সার্টিফাই করতে রাজি হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে তা চিরকালের জন্য হতে পারে না, এটা সাময়িক সময়ের জন্য। কোরবানি পর্যন্ত এ সুবিধাগুলো দেওয়া হবে। কোরবানির পরে যদি মানে না আসে তবে পূর্বের সার্টিফিকেটগুলো বাতিল করা হবে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষে তিনি বলেন, ট্যানারির সমস্যাগুলো শুনেছি। এই সমস্যাগুলোর সমাধান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এটা আলোচনা করবো। এই খাতে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এসময় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিবেশ এবং বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, একই মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার, বিসিকের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিকসহ বিভিন্ন কারখানার মালিক উপস্থিত ছিলেন।

এমএএস