ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার ১নং মনপুরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে প্রার্থী, সমর্থক ও পুলিশসহ কমপক্ষে অর্ধশত ব্যক্তির আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এক দফায় এবং বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে দ্বিতীয় দফায় এ সংঘর্ষ হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে প্রার্থীদের মধ্যে মারামারি ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় চিহ্নিত ১৫ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৪শ জনের নামে মামলা হয়েছে।

আসন্ন নির্বাচনে রাতে ভোট পাহারাকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী, প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও এক মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে দফায় দফায় রাতভর ত্রিমুখী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে এক মেম্বার প্রার্থী, এক সহকারী পুলিশ পরিদর্শক ও এক কনস্টেবলসহ প্রার্থীদের অর্ধশতাধিক সমর্থক আহত হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত নয় কর্মী-সমর্থককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মনপুরা ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজারে ভোট পাহারাকে কেন্দ্র করে ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদ প্রার্থী খোরশেদ আলমের সমর্থকদের সঙ্গে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লোকমান হাওলাদারের সমর্থকদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে বর্তমান চেয়ারম্যান ও প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী আমানত উল্লা আলমগীরের সমর্থকরা এসে মেম্বার পদ প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে যোগ দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় কয়েক দফায় মারামারি হয়। তারই জের ধরে বুধবার সকালে ও দুপুরে পৃথক স্থানে সংঘর্ষ হয়।

আহতদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী খোরশেদ আলম, বদরুল আলম, আবদুর রহিম, মো. ফারুক, মো. মনজু, বাদশা, জাফর, মো. সোহাগ, মশু, শাহীন, শামীম, বাবুল, শামসু, রাসেদ, মিলন, কাইয়ুম, মিজান, কাদের, সাইদ, রাসেল, রফিক, তবারক আলী, জালাল আহমেদ, আবদুল গফুর, গেদু, মাহে আলম, বাবু, আনিসুল প্রমুখ।

মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রার্থীদের সতর্ক করে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে ভোট করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

উল্লেখ্য, ৯ মার্চ মনপুরা ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসএসএইচ