গাজীপুরের কাপাসিয়া ও শ্রীপুর উপজেলায় বেগুনি পাতার ধান চাষ

ধানখেত মানেই বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ। তবে এবারই প্রথম এর ভিন্নতা দেখা গেছে গাজীপুরের কাপাসিয়া ও শ্রীপুর উপজেলার কয়েকটি ধানখেতে। চিরায়ত ধান গাছের সবুজ রঙের আড়ালে কৃষকের জমিতে শোভা পাচ্ছে বেগুনি পাতার ধান বা পার্পল লিফ রাইস। আর এতে উৎসুক মানুষ ভিড় করছে কৃষকের খেতে। আশপাশের কৃষকরা এই ধান চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তবে স্থানীয় কৃষি বিভাগ বেগুনি পাতার ধানের জাতটি উচ্চফলনশীল না হওয়ায় কৃষকদের নিরুৎসাহিত করছে।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায় দেখতে আকর্ষণীয় এই ধান চাষে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। বিশেষ গুণ না থাকলেও বেশ কয়েক বছর ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেগুনি পাতার ধানের চাষ হচ্ছে। তবে গাজীপুরে কাপাসিয়া ও শ্রীপুরে এই প্রথম ০.৫৮০ হেক্টর জমিতে এই ধান চাষ করা হয়েছে। এ জাতের ধানের উদ্ভাধক দেশ চীন। এর উৎপাদনও খুব বেশি নয়, প্রতি হেক্টরে মাত্র ৪-৫ মেট্রিক টন। সাধারণত এ জাতের ধান গাছে ধানের জমিতে মার্জিন দিতে ব্যবহার করা হয়। কৃষি বিভাগ সব সময় উচ্চফলনশীল জাতের ধান চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে। যেহেতু এ ধানের ফলন তেমন নেই, তাই এ জাতের ধান চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করা হয়।

শ্রীপুরের বেকাশহরা গ্রামের কৃষক এনামুল হক ঢাকা পোস্টকে জানান, তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ জাতের ধানের কথা জানতে পারেন। পরে অনেকটা শখের বশে বীজ সংগ্রহ করে টেংরা-বরমী সড়কের পাশে ৩৫ শতাংশ জমিতে এ ধানের চাষ করেন। ভরা মৌসুমে এখন দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে তার ধানের জমি। পথচারীসহ অনেকেই এ ধান দেখতে পেয়ে একটু দাঁড়িয়ে এর সৌন্দর্য উপভোগ করেন।

শৈলাট গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ ঢাকা পোস্টকে জানান, তিনিও অনেকটা শখের বশে এবার ১০ শতাংশ জমিতে বেগুনি ধান চাষ করেছেন। এখনতো প্রতিদিনই এলাকার কৃষাণ-কৃষাণী ছাড়াও অন্যান্য এলাকা থেকে উৎসুক অনেকেই তার ধানের জমি দেখতে আসছেন। অনেকে ছবিও তুলছেন।

গাজীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মাহবুব আলম বলেন, উচ্চফলনশীল না হলেও অনেকেই শখের বশে এ জাতের ধান চাষ করছেন। তবে কৃষকদের বড় পরিসরে এ জাতের ধান চাষে আমাদের পক্ষ থেকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। কেননা সৌন্দর্য ছড়ানো  ছাড়া এর বিশেষ কোনো গুণের কথা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

শিহাব খান/আরএআর