ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মৃত্যুবরণ করায় বিধি অনুযায়ী শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড় কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচন চলছে। এ নির্বাচনে জাল ভোট দিতে এসে এক প্রবাসী আটক হয়েছেন। 

শনিবার (৯ মার্চ) বেলা পৌনে ১১টার দিকে বড় কান্দি ইউনিয়নের মনাই ছৈয়াল কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

জাল ভোট দিতে এসে আটক হওয়া অনন্ত শিকদার মনাই ছৈয়াল কান্দি গ্রামের আক্তার হোসেন শিকদারের ছেলে। তিনি মালেশিয়া প্রবাসী ছিলেন।

কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসার সূত্রে জানা যায়, অনন্ত শিকদার নামে এক মালেশিয়া প্রবাসী শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইউনিয়নটির ৪নং ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র মনাই ছৈয়াল কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দিতে আসেন। ব্যালট পেপার নেওয়ার সময় তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হোন। এরপর তাকে নির্বাচনে দায়িত্বরত ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়।

আটক হওয়ার বিষয়ে অনন্ত শিকদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাকে ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার জামাল শেখ একটি স্লিপ দিয়ে বলেছেন ভোট দিয়ে আসো। আমি ওই স্লিপ নিয়ে ভোট দিতে আসার পর আমাকে আটক করা হয়েছে। আমি আর কিছু জানি না।

বিষয়টি নিয়ে বড় কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার জামাল শেখ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি অনন্তকে চিনি। তবে তাকে আমি কোনো স্লিপ দিয়ে ভোট দিতে পাঠাইনি। বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি করার দরকার নেই।

কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসার মুক্তি রানী দে মন্ডল ঢাকা পোস্টকে বলেন, জাল ভোট দিতে আসা ওই ব্যক্তিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে গেছে। এর বেশি কিছু আমি বলতে পারব না।

নির্বাচনে দায়িত্বরত ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও নড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. পারভেজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে একজনকে আমরা আটক করে নিয়ে এসেছি। এখনও তার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর বড়কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফি উদ্দিন খলিফার মৃত্যুতে ইউনিয়নটিতে বিধি অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। উপ-নির্বাচনে ১৫ হাজার ২৯০ জন ভোটারের বিপরীতে মোট প্রার্থী ৭ জন। প্রার্থীরা হলেন চশমা প্রতীক নিয়ে এম এ ওয়াহাব মাদবর, ঘোড়া প্রতীক নিয়ে লুৎফর রহমান, মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে আলী আশ্রফ মাল, টেবিল ফ্যান প্রতীক নিয়ে মোফারদ সিদ্দিকী, অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে মতিউর রহমান শিকদার, টেলিফোন প্রতীক নিয়ে কামরুল হাসান, আনারস প্রতীক নিয়ে হাচিনা বেগম।

সাইফ রুদাদ/এএএ