হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলেয়া আক্তার জয়ী হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীকে ৫৬৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আলমগীর চৌধুরী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫০১ ভোট।

শনিবার (৯ মার্চ) বিকেল ৫টায় জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আলেয়া আক্তার হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু জাহিরের স্ত্রী।

এর আগে সকাল ৯টা থেকে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে শুরু করেন ভোটাররা।
 
জেলার ৯টি উপজেলায় অবস্থিত ৯ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। পোলিং এজেন্টদের মাধ্যমে কেন্দ্র ভিত্তিক প্রাপ্ত ফলাফলে সদর উপজেলার হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে আলেয়া আক্তার আনারস প্রতীকে ৯৩টি ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আলমগীর চৌধুরী ভোট পেয়েছেন ২৫টি। 

লাখাই উপজেলার কালাউক উচ্চ বিদ্যালয় বামৈ কেন্দ্রে আলেয়া আক্তার ভোট পেয়েছেন ৬১ ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আলমগীর চৌধুরী ১৩ ভোট পেয়েছেন। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আলেয়া আত্মার ভোট পেয়েছেন ৫১টি। আলমগীর চৌধুরী ভোট পেয়েছেন ২টি। 

চুনারুঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মো. আলমগীর চৌধুরী ভোট পেয়েছেন ১০৩টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলেয়া আক্তার ভোট পেয়েছেন ৩৯টি। 

মাধবপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আলেয়া আক্তার ভোট পেয়েছেন ৭৬টি। মো. আলমগীর চৌধুরী ভোট পেয়েছেন ৭৫টি। 

নবীগঞ্জ উপজেলার হীরা মিয়া গার্লস হাই স্কুল কেন্দ্রে মো. আলমগীর চৌধুরী ভোট পেয়েছেন ১৩২টি। আলেয়া আক্তার ভোট পেয়েছেন ৪৪টি। 

বাহুবল উপজেলার আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আলেয়া আক্তার ভোট পেয়েছেন ৫২টি। আলমগীর চৌধুরী ভোট পেয়েছেন ৩৮টি। 

বানিয়াচং উপজেলার মেধা বিকাশ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আলেয়া আক্তার ভোট পেয়েছেন ১০৭টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আলমগীর চৌধুরী ভোট পেয়েছেন ৮৯টি। 

আজমিরীগঞ্জ উপজেলার উপজেলা কমপ্লেক্স সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আলেয়া আক্তার ভোট পেয়েছেন ৪১টি। আলমগীর চৌধুরী ভোট পেয়েছেন ২৪টি।

হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলার ৯ উপজেলা, ৫ পৌরসভা ও ৭৮ ইউনিয়ন পরিষদের মোট ভোটার (জনপ্রতিনিধি) ১ হাজার ১০৪ জন।

প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী। ফলে পদটি শূন্য হয়।

এমএএস