স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, যাদের টাকা আছে তারা যেখানে খুশি যেতে পারে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা সুনিশ্চিত করতে চাই। আমরা বিভিন্ন হাসপাতাল পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা দেখবো হাসপাতালে ভালো কোনো সার্ভিস আছে কিনা।

রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই কেন্দ্রে দিনব্যাপী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও কৃষিজীবীদের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক এগিয়ে গেছে। ভবিষ্যতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য কী করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে। 

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বর্তমানে মেয়েদের ব্রেস্ট ক্যান্সার হচ্ছে। সচেতনতার অভাবে মেয়েরা এ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। কীভাবে এটা নিরাময় সম্ভব সে বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা হচ্ছে। এছাড়া আগুনে পুড়ে গেলেই মারা যাবে এমনটা নয়। কী পরিমাণ, কোন অংশ পুড়ে গেলে মারা যায় সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো হবে।

তিনি আরও বলেন, সারা বছর সরকারি-বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতালগুলোতে পরিদর্শন অব্যাহত রাখা হবে। কোনো রকম গরমিল পাওয়া গেলে বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে সব হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে না। 

প্রফেসর ডা. কাজী শফিকুল হালিম জিম্মুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বক্তব্য দেন। এ সময় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসাসেবা পরিদর্শন করেন এবং নিজেও স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেন। এরপর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও কৃষিজীবীদের ঐতিহ্যগত সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন।

আরমান হোসেন রুমন/আরএআর