সড়কের জায়গা দখল করে তোলা হয়েছে ঘর। লাগানো হয়েছে সারি সারি গাছ। কয়েক বছরে সড়কের উন্নয়ন কাজে উল্টো পাশের খালি জায়গা থেকে মাটি নিয়ে একপাশে ভরাট করা সেই জমির ওপর রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে এলজিইডির বিরুদ্ধে। জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানায় কুলিয়া উত্তর পাড়ায় রাস্তা নির্মাণের এ ঘটনা ঘটেছে।

এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার পাকা রাস্তা বিষাদে পরিণত হয়েছে ভুক্তভোগী এক কৃষকের। পৈত্রিক জমির ৭ শতাংশ জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে রাস্তা। এ নিয়ে শনিবার (৯ মার্চ) স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ জানিয়েও সমাধান পাননি জমির মালিক। 

অভিযোগে বলা হয়, তার দাদা গহের আলী সরকারের নিজস্ব সম্পত্তির বরাতে কুলিয়া মৌজার বর্তমান দাগ নং ১৭৫৬ ও ১৭৫৯ এর ৫২ শতাংশ জমি বাবা আলহাজ মগর আলী ও জেঠা আলহাজ মহর আলী দীর্ঘদিন ভোগ দখল করে আসছে।

সম্প্রতি টনকি মুজিবর মাস্টারের বাড়ি হতে আকবরের মোড় হয়ে কুলিয়া উত্তর পাড়ার কাঁচা মাটির রাস্তা উন্নয়ন ও পাকাকরণে কয়েক ধাপে মাটি ভরাটের সময় উক্ত দুই দাগের জমি থেকে মাটি নিয়ে পাশের রাস্তা ভরাট করা হয়। এ জমির পাশে আকবরের মোড়ে কয়েক ধাপে মাটি ভরাটের ফলে রাস্তাটি সরকারি নকশা বহির্ভূতভাবে উল্লিখিত দাগ নম্বরের জমিতে চলে আসে। এতে সড়কের মূল অংশের ৫ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত ১৭৫৬ ও ১৭৫৯ নম্বর দাগের জমিতে চলে এসেছে। ফলে, দুই দাগে বর্তমান জমির পরিমাণ কমে ৪৬ শতাংশ রয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের জমির ওপর ভরাট করা রাস্তা পাকাকরণের কাজ চলমান। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করা হলেও বিষয়টি সমাধান করতে পারেনি।

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবা হক বলেন, জমিজমার বিষয়ে আমি কোনো সমাধান দিতে পারব না। যেহেতু এলজিইডি রাস্তাটি করছে তারাই এ বিষয়ে বলতে পারবে। 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শুভাশীষ রায় বলেন, জামালপুর প্রকল্পের কাজটি এলজিইডির মাধ্যমে বাস্তবায়ন হচ্ছে। এসব বিষয় আমাদের দেখার কথা না। আমাদের কাছে কাজ এসেছে আমরা কাজ করেছি। 

অভিযোগের তদন্তের বিষয়ে কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, জমির মালিক এ বিষয়ে জানিয়েছে তবে আমার কিছু করার নাই। যেদিক দিয়া রাস্তা আছে সেদিকেই তো করব। তারা রাস্তার ওপর মাটি ভরাট করতে দিলো কেন।

রকিব হাসান নয়ন/এএএ