পবিত্র রমজান এলেই বাজারে বিভিন্ন পণ্যে অস্থিরতা বাড়ে। এজন্য এবার রমজান মাসে মুরগি, ছাগল, গরুর মাংসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসন। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে জেলা কৃষি বিপনণ কমিটির সভায় আলোচনা করে পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া হয়।

জয়পুরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। এসময় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সকল স্তরের ব্যবসায়ী নেতারা বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদনমূল্য ও বিক্রয় ব্যবস্থাপনা বিশ্লেষণ করেন। বিশ্লেষণে ১৬টি পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া হয়। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল ও বেড়ে যাওয়া সম্ভবনা না থাকায় সেগুলোর দাম নির্ধারণ করা হয়নি। তবে হঠাৎ করে পণ্যের দাম যাতে না বেড়ে যায় সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তর মনিটরিং করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভায় প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম সর্বোচ্চ ২০০ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হয়েছে। লেয়ার মুরগি ২৭৫ টাকা কেজি, সোনালী মুরগি ২৮০ টাকা কেজি, দেশি মুরগি ৫০০ টাকা কেজি, বকনা, ষাঁড় বা এঁড়ে গরুর মাংস ৭০০ টাকা কেজি, গাভীর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি, খাসির মাংস ১০০০ টাকা কেজি ও ছাগীর মাংস ৮৫০ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ডিম সর্বোচ্চ ৪০ টাকা হালি, তরল দুধ ৭০ টাকা লিটার, সয়াবিন তেল (খোলা) ১৪৯ টাকা কেজি, ছোলা ১০০ টাকা কেজি, আদা ২০০ টাকা কেজি, বেগুন ৪০ টাকা কেজি, মোটা মুড়ি ৭০ টাকা কেজি, চিকন মুড়ি ৭৫ টাকা কেজি বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মাছ, পেঁয়াজ, রসুন, চিনিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল ও বাড়ার সম্ভবনা না থাকায় সেসবের দাম নির্ধারণ করা হয়নি।

সভায় জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) কেএমএ মামুন খান চিশতী, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রাহেলা পারভীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর, সবুর আলী, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিএম সেলিম, জয়পুরহাট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আব্দুল হাকিম মন্ডল, জয়পুরহাট পৌরসভার প্যানেল মেয়র ইকবাল হোসেন সাবুসহ র‍্যাব-৫, এনএসআই, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চম্পক কুমার/আরকে