পুলিশের ধাওয়ায় পালাতে গিয়ে প্রাইভেটকার চাপায় আবদুল লতিফ (৫৫) নামে এক পরিবহন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যান তিনি।

নিহত আবদুল লতিফ নোয়াখালীর সেনভাগ উপজেলার ইদলপুর গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে। তিনি কাভার্ডভ্যানের হেলপার ছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ নিয়ে রাতে লকডাউন বাস্তবায়নে বানেশ্বর এলাকায় যান পুঠিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ। ওই সময় অন্যদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন কাভার্ডভ্যানের হেলপার আবদুল লতিফ। পুলিশের ধাওয়ায় তারা ‍পালাতে শুরু করেন। 

আবদুল লতিফ দৌড়ে মহাসড়ক পার হতে গিয়ে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা প্রাইভেটকারের (ঢাকা মেট্রো-২৬-৩৯২৩) নিচে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। 

প্রাইভেটকারের মালিক রাজশাহীর তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান। তিনি দুর্ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, হঠাৎ ওই ব্যক্তি চলন্ত প্রাইভেটকারের সামনে চলে আসেন। এতে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। পরে পুলিশ প্রাইভেটকারটি জব্দ করে রেখেছে।

তবে হাইওয়ে পুলিশের পুঠিয়ার শিবপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলেন, কাভার্ডভ্যান নিয়ে নোয়াখালী ফিরছিলেন আবদুল লতিফ। পথে বানেশ্বর এলাকায় তিনি রাতের খাবার খেতে নেমেছিলেন। মহাসড়ক পার হতে গিয়ে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন। তাকে চাপা দেওয়া প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এসপি