জয়পুরহাট বিআরটিএ ও পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৫ (র‍‍্যাব)। এ সময় সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদেরকে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে এই অভিযান চালানো হয়। এতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান। এ সময় র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. শেখ সাদিক, জয়পুরহাট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক এ কে এম মোতাহার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রফিকুল ইসলাম (৫৯), আলম রশিদ (৪০), মামুনুর রশিদ (৪৪), রেজানুর রহমান সাজু (৩৬) ও মাহাতাব উদ্দীন (৬২)। তারা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ‘দালালদের দখলে জয়পুরহাট বিআরটিএ’ এবং ১০ মার্চ 'দালালে ভরা জয়পুরহাট পাসপোর্ট অফিস, জড়িত কর্মচারী-আনসাররাও' শিরোনামে ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানে বিআরটিএ ও পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য এবং সেবাগ্রহীতাদের নানা বিড়ম্বনার চিত্র তুলে ধরা হয়। এরপর আজ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় র‍‍্যাব বিআরটিএ ও পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালায়।

জয়পুরহাট র‍‍্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর শেখ সাদিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। দালালরা সক্রিয়ভাবে এই অফিসগুলোতে কাজ করছে। আমরা এরকম অভিযান অব্যাহত রাখব।

সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিআরটিএ ও পাসপোর্ট অফিসে সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে দ্রুত কাজ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে দালালচক্র কাজ করছে, এমন অভিযোগে আমরা আজ জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানের সময় সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার সময় পাঁচজনকে হাতেনাতে আটক করি। পরে তাদের প্রত্যেককে ৫০০ টাকা করে অর্থদণ্ড ও ৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা প্রত্যেককে অবগত করছি যেন কেউ কোনো অফিসে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না হয়। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চম্পক কুমার/এমজেইউ