পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে নির্মাণাধীন ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দার ছাদ ঢালাইয়ের সময় ধসে পড়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, স্বাস্থ্য বিভাগের প্রকৌশলীর তদারকি ছাড়াই চলছিল ভবনটির নির্মাণ কাজ। সেই সুযোগে নির্মাণকাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল নিম্নমানের সামগ্রী।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল থেকেই চলছিল রাঙ্গাবালী উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কাজ চলা অবস্থায় হঠাৎ নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের সামনের অংশ ধসে পড়। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। 

জানা যায় ,২০২৩ সালের জুলাই মাসে চরাঞ্চলের দুই লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর নির্মাণ কাজ পায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের মালিকানাধীন প্রাইম কনস্ট্রাকশন। ১০ হাজার স্কয়ার ফুটের ভবনটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ কোটি টাকা।

অভিযোগ রয়েছে, স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো প্রকৌশলীর তদারকি ছাড়াই অনেক দিন ধরে ভবনটিতে নির্মাণ চলছে। তদারকির জন্য একজন প্রকৌশলী নিয়োগ করা থাকলেও বেশির ভাগ সময় অনুপস্থিত থাকেন তিনি। ছাদ ধসের ঘটনার সময়ও উপস্থিত ছিলেন না স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো প্রকৌশলী।

স্থানীয়রা বলছেন, নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটছে। 

তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মো. রাহাতের দাবি, ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। শ্রমিকদের গাফিলতির কারণে সেন্টারিংয়ে ত্রুটির কারণে ঘটেছে এ দুর্ঘটনা। 

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীসহ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসকেডি