লকডাউনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোববার (২৫ এপ্রিল) থেকে দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে দক্ষিণবঙ্গের কর্মজীবী মানুষজন ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন।

শনিবার (২৪ মার্চ) সকাল থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজারঘাটে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। তবে ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, বিধিনিষেধের আওতামুক্ত যানবাহন পারাপারের জন্য ১৪টি ফেরি মধ্যে মাত্র ৫টি ফেরি চলছে।

জানা যায়, বিধিনিষেধ মেনে দোকানপাট-শপিংমল খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর থেকে যাত্রীরা কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার জন্য ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তবে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফেরিতে করে পদ্মা পারি দিচ্ছেন।

তবে নৌরুটে শুধু লকডাউনের আওতামুক্ত যানবাহনই ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ। আর নৌরুটে স্পিডবোট ও লঞ্চ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

শিমুলিয়াঘাটে ফেরিতে করে পদ্মা পারি দিচ্ছেন যাত্রীরা

শিমুলিয়া ফেরিঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) হিলাল উদ্দিন বলেন, লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় যাত্রীরা নিষেধ অমান্য করে ফেরিতে পদ্মা পার হচ্ছেন। তবে ঘাট এলাকায় গাড়ির তেমন চাপ দেখা যায়নি।

শিমুলিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়াত আহম্মেদ বলেন, ৫টি ফেরি দিয়ে লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। তবে যাত্রীরা জোর করে ফেরিতে উঠছেন। যাত্রী নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি প্রশাসন দেখছেন।

এদিকে মাদারীপুরের বাংলাবাজারঘাটে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। শুক্রবারের চেয়ে শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ রয়েছে আরও বেশি। যাত্রীদের বেশিরভাগই ঢাকাগামী। আর যাত্রীদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো প্রবণতা নেই।

জানা গেছে, সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যেও মাদারীপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে রাজধানীমুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকলেও শনিবার সকাল থেকে ফেরিতে যাত্রীর ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। 

ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে সাধারণত ১৮টি ফেরি চলাচল করলেও করোনাভাইরাসের চলমান লকডাউনে মাত্র পাঁচটি ফেরি চলাচল করছে। সকাল থেকেই ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকে। এছাড়া যাত্রীদেরও চাপ বাড়তে থাকে ফেরিঘাটে।

বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন জানান, সীমিত পরিসরে ফেরি দিয়ে জরুরি সেবা প্রদানকারী যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এর মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী ট্রাক, কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়ি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। 

এদিকে ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে বাড়তি ভাড়া দিয়ে দক্ষিণাঞ্চল থেকে যাত্রীরা ঘাটে আসছেন। পরে ফেরিতে করে পদ্মা নদী পারি দিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছেন তারা।

ব ম শামীম ও নাজমুল মোড়ল/এমএসআর