জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ফিচকাঘাট এলাকায় আদিবাসীর জমি সংক্রান্ত বিষয়ের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া চার সাংবাদিকের ওপর হামলা করে তাদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।

মহীপুর হাজী মহসীন সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সস্পাদক মাহমুদুল ও তার লোকজন হামলা করে সাংবাদিকদের মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলা ও মারধরের শিকার সাংবাদিকরা হলেন, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙ্গা টিভির জেলা সংবাদদাতা আল মামুন (৩৫), দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের জেলা প্রতিনিধি জুয়েল শেখ (৩৮), বাংলার দূতের জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক (৩৫) ও সংবাদ সারাবেলার পাঁচবিবি প্রতিনিধি বাবুল হোসেন (৩৭)।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকেরা জানান, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ফিচকাঘাট এলাকায় আদিবাসীদের একটি জমিতে মহিপুর হাজী মহসিন সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান আইন অমান্য করে এক্সেভেটর (খননযন্ত্র) দিয়ে মাটি খননের কাজ করছিলেন। আদিবাসীদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ওই চারজন সাংবাদিক। খবর পেয়ে ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল ও তার লোকজন সেখানে আসেন। এরপর অতর্কিতভাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়ে লাঠিসোঁটা ও লোহার রড় দিয়ে মারপিট করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকরা তাদের উদ্ধার করে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করান। এরপর তাদের জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান বলেন, আমার ভেকু মেশিন (এক্সেভেটর) রয়েছে। ভাড়ায় একজনের পুকুর সংস্কারের কাজ করছিলাম। চারজন সাংবাদিক আমার সাইটে গিয়ে ভেকু মেশিনের চালককে কাজ বন্ধ করতে বলেন। এক পর্যায়ে তারা টাকা দাবি করেন। পরে একজন আমার সাইটের ম্যানেজারকে চড় মারে। ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। পরে খবর পেয়ে আমি আসি। আমাকে দেখে সেখানকার লোকজন আরও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এ নিয়ে গণ্ডগোলের এক পর্যায়ে মারামারি হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

পাঁচবিবি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, আহত সাংবাদিকরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মারপিটের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আর অন্য পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। তাদের অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চম্পক কুমার/আরকে