এবার সমাজসেবায় অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন অরন্য চিরান। তিনি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের দিঘলবাগ গ্রামের মৃত ক্ষিতীশ মানখিনের ছয় ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সবার বড়। ১৯৮০ সালে জন্ম নেওয়া অরন্য চিরান সারা এনজিওতে প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করেন ২০১১ সাল থেকে।

চাকরির পাশাপাশি তিনি ছাত্রজীবন থেকে সামাজসেবামূলক কাজ শুরু করেন। আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে তাদেরকে স্কুলমুখী করেছেন। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করে শিক্ষা উপকরণ দিয়ে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করেছেন। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টাঙ্গাইলের মধুপুর ও ধোবাউড়ায় শিক্ষা বিস্তারে কাজ করেন। ওই সময়ে নিজেও করেন শিক্ষকতা।

প্রথমবার আবেদন করেই স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়া অরন্য চিরানকে নিয়ে স্থানীয়ভাবে মতানৈক্য তৈরি হলেও তিনি বলেন, আমাকে সবাই চিনবে বিষয়টি এমন নয়। আমি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। কখনো আমি স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ার জন্য কাজ করিনি। আমি নিঃস্বার্থভাবে, নিবিড়ভাবে কাজ করে গিয়েছি।  কখনো আমি এগুলো প্রচার-প্রচারণা তেমনভাবে করিনি। তার কারণেই হয়তো অনেকে আমার ব্যাপারে জানেন না। আমি প্রায় ২০-২৫ বছর যাবত এমন সেবামূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি।

অরন্য চিরান বলেন, সরকারের সঙ্গে তৃণমূল মানুষ ও আদিবাসীদের সেতু বন্ধনে কাজ করছি। আদিবাসীদের ভূমি, পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তি করতে কাজ করেছি। ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের পুনরায় শিক্ষায় ফেরানো, পথশিশু, হরিজনদের মাঝে শিক্ষা বিস্তারে ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছি। বিভিন্ন মানুষের চিকিৎসায় সহায়তা করেছি। এভাবেই বাকি জীবন কাজ করে যেতে চাই।

উবায়দুল হক/আরএআর