পটুয়াখালীর বাউফলে মোহসেনুদ্দীন নূরিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম ও নিয়োগ বাণিজ্য করে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। 

অভিযোগ আছে,পছন্দের লোককে নিয়োগ দিতে কমিটির বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির সংক্রান্ত চলমান মামলার তথ্য গোপন করে এবং পত্রিকায় গোপনে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তিন পদের নিয়োগ সম্পন্ন করেছেন অধ্যক্ষ।

অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সরকারি বিনামূল্যের বই বাইরে বিক্রি করে দেওয়া, মৃত ব্যক্তিকে মাদ্রাসা কমিটির সদস্য করা, অফিস না করে মাস শেষে একসাথে হাজিরা খাতায় সাক্ষর দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।  

মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য ও কমিটির বিরুদ্ধে চলমান মামলার বাদী নুর উদ্দিন আফসারি ঢাকা পোস্টকে বলেন, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুর রহিম স্ট্যাম্প, মাদ্রাসার অফিসিয়াল প্যাডে লিখিত দিয়ে এবং নিজ একাউন্টের চেক জমা দিয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে এলাকার বিভিন্ন মানুষের থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। 

মাদ্রাসার শিক্ষক প্রতিনিধি কারী মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ ঢাকা পোস্টকে জানান, নিয়োগ কমিটির বিষয় রেজুলেশনে ও আদালতে জমা দেওয়া কাগজপত্র আমার নামের সাক্ষরটি আমার নয়, এটি অন্য কেউ দিয়েছে। 

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুর রহিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি কুচক্রীমহল মিথ্যা রটাচ্ছে।  বিধিবহির্ভূত কোনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে অধিদপ্তরের ডিজি অবগত আছেন। 

নিয়োগের জন্য ঘুষ নিয়েও চাকরি না দেওয়ার অভিযোগের বিষয় তিনি বলেন, ওই টাকা আমি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ধার নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে সেই টাকা আমি পরিশোধও করে দিয়েছি। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বশির গাজী ঢাকা পোস্টকে বলেন , অধ্যক্ষের অনিয়ম ও নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পেলে মাউসি ও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে।   

মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, যদি অভিযোগ সত্য হয় তবে অধ্যক্ষ অনিয়ম করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আরিফুল ইসলাম/এনএফ