রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকেই পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে সাগরকন্যা খ্যাত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের এ লীলাভূমিতে বছরের সবসময়ই কমবেশি পর্যটক থাকে। কিন্তু রমজানের প্রথম দিন থেকেই পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা। 

বুধবার (২০ এপ্রিল) সৈকতের সবগুলো পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, রমজানের প্রথম দিন থেকে এখন পর্যন্ত পর্যটক শূন্য রয়েছে এ সৈকত। পর্যটক না থাকায় সৈকতে থাকা ছাতা, বেঞ্চ গুছিয়ে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও তাদের স্টলগুলো বন্ধ রেখেছেন পর্যটক না থাকায়। তবে কিছু দোকানি সকালে দোকান খুলে বসলেও সন্ধ্যার আগেই বন্ধ করে দেন।

শুধু শুঁটকি, ছাতা, বেঞ্চ বা ঝিনুক ব্যবসায়ীরাই নয় পর্যটন কেন্দ্রের অন্যতম অনুষঙ্গ হোটেল ব্যবসায়ীরা পাচ্ছেন না রুম বুকিং দেওয়ার মতো পর্যটক। তবে তাদের আশা রমজানের প্রথম দিকে পর্যটক না পেলেও শেষের দিকে কিছু পর্যটক পেতে পারেন।

কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফার ইয়াছিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, রমজান শুরুর দিন থেকেই পর্যটক শূন্য সৈকত। রমজানের আগে আমরা প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ জনের ছবি তুলতাম। কিন্তু রমজান শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১০ থেকে ১২ জনের মতো ছবি তুলেছি। তবে রমজানের শেষের দিকে পর্যটক বাড়বে বলে আমরা মনে করছি। 

সৈকতের ঝিনুক দোকানি ইমন হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমানে কুয়াকাটায় তেমন কোনো পর্যটক নেই। তবে রমজানের শুরুটা পর্যটক শূন্য হলেও ১৫ রমজানের পরে পর্যটকের আগমন ঘটবে এমনটা মনে হচ্ছে। বর্তমানে পর্যটক নেই তাই অনেক দোকান বন্ধ রয়েছে। কিছু দোকান খুলে আমরা সময় কাটাচ্ছি। 

কুয়াকাটা সমুদ্র বাড়ি রিসোর্টের ম্যানেজার সজীব হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মূলত সব সময়ই রমজানে কম-বেশি পর্যটক থাকে। আর তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও রমজানে পর্যটকদের তেমন কোনো চাপ নেই কুয়াকাটায়। রমজানে প্রতিদিন এক/দুই রুম পর্যটক পাচ্ছি। তবে রমজানের শেষের দিকে পর্যটক বাড়বে বলে আশা করছি আমরা। 

ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল জহিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, রমজান মাসের প্রথম দিকে পর্যটক তুলনামূলক অনেকটাই কম থাকে বর্তমানেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আসলে রমজান মাসে সব সময়ই পর্যটকদের চাপ কম থাকে। ঈদের পরে পর্যটকদের ঢল নামবে কুয়াকাটায় বলে আমরা মনে করছি।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন ডিউটি অফিসার এসএই আতাউর রহমান ঢাকা পোস্টকে জানান, বর্তমানে কুয়াকাটায় তেমন কোনো পর্যটকের ভিড় নেই কিন্তু আমাদের টহল টিম এখনও সৈকতে দায়িত্ব পালন করছে। শুধু সৈকতেই নয় কুয়াকাটার সকল দর্শনীয় স্থানগুলোতে আমাদের টিম দায়িত্ব পালন করছে। তবে রমজানের শেষের দিকে পর্যটন বাড়বে বলে মনে করছি। 

এসএম আলমাস/আরকে