মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর খাদ্যগুদাম থেকে রাতের আঁধারে ২৫০ টন চাল সরানোর অভিযোগে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক সৈয়দ সফিউল আজমকে আটক করেছে পুলিশ। সরিয়ে ফেলা ওই চালের মূল্য ১ কোটি ১৫ লাখ টাকার বেশি বলে জানা গেছে।

গজারিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ বলেন, এই উপজেলায় দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ১৯ মার্চ আমি রসুলপুর খাদ্যগুদাম পরিদর্শনে যাই। এ সময় ৪নং ভবন পরিদর্শনের সময় মজুদকৃত চালের পরিমাণ অনেক কম দেখতে পাই। মজুদকৃত চালের পরিমাণ ৪৩১ মেট্রিক টন হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে অনেক কম পাওয়া যায়। বিষয়টি আমার সন্দেহ হলে খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হই এখান থেকে অধিকাংশ চালের বস্তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গত ১২ মার্চ থেকে গুদামের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরও নেই। বিষয়টি আমি লিখিত আকারে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। এ ঘটনায় এক খাদ্য পরিদর্শককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি।

গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনাব কোহিনুর আক্তার বলেন, সদ্য যোগদান করা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা লিখিত আকারে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। গুদামে মজুদকৃত চালের পরিমাণে বড় ধরনের গরমমিল পাওয়া গেছে। গুদামের দায়িত্বে থাকা খাদ্য পরিদর্শক সৈয়দ শফিউল আজমকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

গজারিয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. রাজিব খান বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছি। তার বিরুদ্ধে গজারিয়া থানায় মামলা হয়েছে। তাকে আজ শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হবে।

ব.ম শামীম/এমজেইউ