বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। তার ওপর রমজান মাসে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেকটাই বেশি। এর প্রভাব পড়েছে মেসে থাকা অসহায় শিক্ষার্থীদের ওপর। মেসের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই মধ্যবিত্ত পরিবারের। পরিবার থেকে লেখাপড়ার জন্য যে খরচ তারা নেয়, সেটা তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নানান খরচেই শেষ হয়ে যায়। ভালো মন্দ খাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও তারা পারে না। রমজানেও অনেকটা সাদামাটাভাবেই ইফতার করছে তারা।

 গত ১৮ মার্চ বান্দরবানের মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের ইফতার আয়োজন নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় ঢাকা পোস্টে। ইফতারে খেজুরও জুটছে না মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশের পরপরই নজরে আসে বান্দরবান সেনা জোনের।

এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে বান্দরবান সেনা জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসান পিএসসি এর নির্দেশে জেলা সদরের পৌরসভার আর্মি পাড়া, মেম্বার পাড়া ও নিউগুলশান এলাকায় মেসে থাকা ২১ জন শিক্ষার্থীর মাঝে অবশিষ্ট রমজানের ২০ দিনের জন্য ছোলা, মুড়ি, সয়াবিন তেল, মশুর ডাল, খেজুরসহ নানান ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে বান্দরবান সেনা জোন। ইফতার সামগ্রী পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র শাহরুখ আরমান বলেন, প্রথমেই ঢাকা পোস্টকে ধন্যবাদ জানাই। তাদের মাধ্যমে সংবাদ প্রচার হওয়ায় বান্দরবান সেনা জোন আমাদের বাকি রমজানের জন্য ইফতার সামগ্রী প্রদান করেছে। ধন্যবাদ জানাই জোন কমান্ডার মহোদয়কে।

বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. শরীফ বলেন, সেনাবাহিনী পার্বত্য বান্দরবানে সর্বদাই মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। আবাসিক মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণের ফলে খুবই উপকার হয়েছে। এজন্য ঢাকা পোস্টসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই মানবিক কর্মকাণ্ডের বিষয়টি তুলে ধরার জন্য।

এ বিষয়ে বান্দরবান জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসান পিএসসি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সেনাবাহিনী পার্বত্য বান্দরবানে স্থিতিশীল নিরাপত্তা বজায় রাখার পাশাপাশি  শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ মানবিক সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

ঢাকা পোস্টে আবাসিক মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের ইফতারে নানান অসুবিধার কথা তুলে ধরে সংবাদ প্রচারের বিষয়টি আমাদের নজরে আশায় আমরা আবাসিক মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের মাহে রমজানের বাকি ২০ দিনের ইফতার সামগ্রী দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। অতীতের মতো আগামীতেও বান্দরবান সেনা জোন সকল মানবিক কর্মকাণ্ডে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

শহীদুল ইসলাম/এমএএস