ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বিনামূল্যে। কিন্তু সেই সময় বিএনপির প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাদের জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে সেই সুযোগ হাতছাড়া করেন। তার খেসারত কিন্তু গত ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত আমাদের দিতে হয়েছে। এখনো কিন্তু সেটা কাটিয়ে উঠতে পারিনি আমরা। 

শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে কুয়াকাটায় সাবমেরিন ক্যাবল, কুয়াকাটা পোস্ট অফিস এবং কুয়াকাটা টেলিযোগাযোগ (ডিবিসিএল) ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। 

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সাবমেরিন ক্যাবল সরকারের পেছনে থেকে মেরুদণ্ডের মতো কাজ করে। বাংলাদেশে দুটো সাবমেরিন ক্যাবল সংযুক্ত হওয়ার ফলে আমাদের এখন ইন্টারনেট ক্যাপাসিটি ৭ হাজার ২০০ জিবিপিএস। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান ব্যবহার ৫ হাজার ২০০ জিবিপিএস। তার মানে বর্তমানে জনগণের যা প্রয়োজন তার থেকেও সরকারের বেশি সক্ষমতা রয়েছে।   

তিনি আরও বলেন, সাবমেরিন ক্যাবল, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ পোস্টসহ সরকারের যতগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোর একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে জনগণকে সেবা প্রদান করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান প্রাইভেট সেক্টরগুলো ব্যবসা করবে এবং জনগণকে স্বল্প মূল্যে সেবা দেবে। সরকারের যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো লোকসানে আছে তাদের আয় বাড়াতে চাই আমরা এবং অপচয় রোধ করে ব্যয় সাশ্রয় করতে চাই। 

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের মানুষও এখন ইন্টারনেট ফোরজি সেবা ব্যবহার করছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে আমরা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারব, সাংবাদিকতা করতে পারব, বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাতে পারব, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারব এবং জরুরি যে সকল সেবাগুলো দরকার সেগুলো নিশ্চিত করতে পারব। আসলে এত কিছু সবই সম্ভব হয়েছে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণে এবং সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে।

এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম, কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার এবং সাবমেরিন ক্যাবল, পোস্ট অফিস, টেলিযোগাযোগের (ডিবিসিএল) স্ব-স্ব সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। 

এসএম আলমাস/আরএআর