কুমুদিনী হাজং

নেত্রকোণায় গারো পাহাড়ি অঞ্চল দুর্গাপুরের ঐতিহাসিক টংক আন্দোলনের সংগ্রামী নারী কুমুদিনী হাজং (৯২) মারা গেছেন। শনিবার  (২৩ মার্চ) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে বার্ধক্যজনিত কারণে উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বহেরাতলী গ্রামের বাড়িতে তিনি মারা যান।

বাংলাদেশ জাতীয় হাজং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পল্টন হাজং জানান, মৃত্যুকালে তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন কুমুদিনী হাজং। তার এক মেয়ে ঢাকায় থাকেন। তিনি আসার পর স্বজনদের সাথে পরামর্শ করে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় নির্ধারণ করা হবে।

কমিউনিস্ট নেতা কমরেড মনি সিংহের নেতৃত্বে টংক আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হয় দুর্গাপুরের হাজং সম্প্রদাযয়ের মানুষেরা। এরই অংশ হিসেবে কুমুদিনী হাজংয়ের স্বামী লংকেশ্বর হাজং অন্দোলনে জড়িত হন। তৎকালীন পুলিশ ১৯৪৬ সালের ৩১ জানুয়ারি বহেরাতলী গ্রামে হানা দিয়ে কুমুদিনী হাজংকে উঠিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে রাশিমনি হাজংয়ের নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় কুমুদিনী হাজংকে পুলিশ নিতে পারেনি। তবে সেখানে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান রাশিমনি হাজং ও সুরেন্দ্র হাজং। পুলিশের দুইজন সদস্য‌ও নিহত হন ওই ঘটনায়।

চয়ন দেবনাথ মুন্না/আরএআর