নিষিদ্ধ রাসায়নিক সাল্টু ব্যবহার করে হোটেলে তৈরি হচ্ছিল ইফতার সামগ্রী। এমন সময় হোটেলে উপস্থিত হোন ইউএনও। সঙ্গে সঙ্গে হোটেল থেকে সটকে পড়েন কারিগর। পরে ভেজাল খাদ্য তৈরি করায় হোটেল মালিককে করেন জরিমানা, দেন সর্তক বার্তা।

শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রংপুরের তারাগঞ্জ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। 

স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিষিদ্ধ রাসায়নিক দ্রব্য সাল্টু দিয়ে তারাগঞ্জ বাজারে ইফতার সামগ্রী তৈরি করে বিক্রি করে আসছিল তারাগঞ্জের কয়েকটি হোটেল মালিক। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল রানা সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান, হাট ইজারাদার, পুলিশের টিম নিয়ে শনিবার বিকেলে তারাগঞ্জ বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এ সময় তারাগঞ্জ বাজারে লাকী হোটেলে নিষিদ্ধ রাসানিক দ্রব্য সাল্টু দিয়ে ইফতার তৈরি করতে দেখেন। এ সময় ইউএনওকে দেখে পালিয়ে যান কারিগর।

পরে ভেজাল খাদ্য তৈরি করায় লাকী হোটেলের মালিক শাহীন ইসলামকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর একই অভিযোগে মৃত্যুঞ্জয় হোটেলের মালিক নান্নু রায়কে ৭ হাজার টাকা ও বুড়িরহাট বাজারের গীর্জা হোটেলের মালিক গীর্জা রায়কে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

কুর্শা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আফজালুল হক বলেন, তারাগঞ্জ বাজারের দোকানগুলোতে ইউএনও’র অভিযানের সময় সাল্টু দিয়ে ইফতার সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছিল। ভেজাল খাবার তৈরি করে মানুষের কাছে বিক্রি লাকী হোটেল ও মৃত্যুঞ্জয় হোটেলেকে জরিমানা করে এবং তাদের সর্তক করেন। এ রকম অভিযান অব্যাহত থাকলে কোনো হোটেল ব্যবসায়ীরা আর ভেজাল খাদ্য তৈরি করতে সাহস পাবে না। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা বলেন, মানুষ পবিত্র মাহে রমজানে যাতে নিরাপদ ও ভেজালমুক্ত খাবার খেতে পারে সেজন্য কুর্শা ইউনিয়নের তারাগঞ্জ বাজার ও সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বাজারের বিভিন্ন হোটেলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় লাকী হোটেল, মৃত্যুঞ্জয় হোটেল ও গীর্জা হোটেলে নিষিদ্ধ সাল্টু ব্যবহার করে ইফতার সামগ্রী তৈরি করায় ওই তিন ব্যবসায়ীকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের বিভিন্ন ধারায় জরিমানা করা হয়েছে। এবং ব্যবসায়ীরা যাতে ভবিষ্যতে এমন কাজ না করেন সেজন্য সর্তক করা হয়েছে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএএস