পীর পরিচয় দেয়া নূরুল ইসলামের কবর

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া ইউনিয়নের পূর্ব মসূয়া চারালদিয়া গ্রামের ইমাম হোসেনের ছেলে নূরুল ইসলাম চলতি বছরের ১০ মার্চ  মারা যান। নূরুল ইসলাম নিজেকে পীর হিসেবে পরিচয় দিতেন। সেই সূত্রে মারা যাওয়ার প্রায় সাড়ে ৯ মাস পর মুরিদরা কবর থেকে তার মরদেহ চুরি করার চেষ্টা করেছেন। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নুরুল ইসলাম পূর্ব মসূয়া চারালদিয়া গ্রামে পীর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুর পর মুরিদরা মাজার নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এলাকাবাসীর সম্মতি না থাকায় আর মাজার নির্মাণ হয়ে ওঠেনি। পীরের মাজার তৈরি করার জন্য বুধবার (৩০ ডিসম্বের) দিবাগত রাত ৩টার দিকে মুরিদ পাকুন্দিয়া উপজেলার বেলদি গ্রামের মোখছেদ মিয়া (৫৫), বেজুরদিয়া গ্রামের সিএনজি চালক লিটন (৩৫) ও বেলদি গ্রামের কামরুল (৩৫)  নূরুল ইসলামের মরদেহ কবর থেকে তুলে তাদের নিজের এলাকায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। মরদেহ সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে আটক করে।

আটক মোখছেদ মিয়া জানান, মৃত নূরুল ইসলামের স্ত্রী পারুল বেগম (৫০), মেয়ে শামসুন্নাহার (৩২) ও জামাই ফারুক মিয়ার নির্দেশে তারা মরদেহ কবর থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় এলাকাবাসীর তাদের ধরে ফেলে। পরে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয়। 

কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশর দায়িত্বরত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, পারিবারিক সম্মতির মাধ্যমে মোখছেদ মিয়া ও তার সহযোগীরা এ কাজ করেছেন।

মসূয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিক জানান, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতে আটকরা আর এ ধরণের কাজ করবে না বলে জানালে তাদের ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। পীর নূরুল ইসলামের মরদেহ পূর্বের কবরেই আবার দাফন করা হয়েছে। 

আরএআর