পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় জাকির হোসেন জাকারিয়া নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে জাকির রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে মারা যায়। 

মৃত জাকারিয়া কালান্দিগঞ্জ বাইপাস এলাকার বাসিন্দা সিদ্দিক হোসেনের ছোট ছেলে ও তেঁতুলিয়া পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল। মৃতের বাবা সিদ্দিক হোসেন কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নৈশপ্রহরী।

পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, জাকারিয়া বয়সের তুলনায় অনেক মোটা হয়ে যাওয়ায় তার ওজন ছিল ১১০ কেজি। রোববার সকালে হঠাৎ করে তার নাক দিয়ে রক্ত পড়লে দ্রুত তেঁতুলিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। 

অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পরে সেখান থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে দিনভর চিকিৎসার পর রাত ৯টার দিকে সে মারা যায়। তার মৃত্যুর পর থেকে কান্না থামছে না পরিবারটির।

শোকগ্রস্ত জাকারিয়ার বাবা সিদ্দিক হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, গত ২১ তারিখে ছেলেটা আইসিটি বিষয়ে প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা দিয়েছে। আজ ছেলেটা নেই। কত স্বপ্ন ছিল ওর সব শেষ হয়ে গেল। রোববার সকালে ছেলেকে রেখে আমরা স্বামী-স্ত্রী কর্মস্থলে চলে যাই। পরে শুনি ছেলের নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে। তাকে বাড়ি থেকে দ্রুত তেঁতুলিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করি। মৃত্যুর পনের মিনিট আগে ছেলে আমার ঘড়ির টাইম জানতে চাইলো। সময় বললাম। এর কিছুক্ষণ পরেই আমার হাতে মাথা রেখেই ছেলেটা মারা গেল।

জানা যায়, জাকারিয়ার বড় ভাই মো. জাহাঙ্গীর আলম সড়ক ও জনপদ বিভাগে ইঞ্জিনিয়ার ও মেঝো ভাই জিল্লুর রহমান সেনাবাহিনীতে কর্মরত রয়েছে।

আশিক, ঈশানুর, অননসহ জাকারিয়ার কয়েকজন বন্ধু বলেন, আমরা দুই বন্ধু এক সঙ্গে আইসিটির প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা দিলাম। আজ জাকারিয়া নেই। খুব কষ্ট পাচ্ছি।

এদিকে এসএসসি পরীক্ষার্থী জাকারিয়ার অকাল মৃত্যৃতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানাতে পরিবারটিতে ছুটে যাচ্ছেন আত্মীয়-স্বজন, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা। সোমবার দুপুর আড়াইটায় জানাজার পর দাফন সম্পন্ন হবে।

এসকে দোয়েল/আরকে