জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তার মায়ের দায়ের করা মামলায় সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। 

রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে আম্মানের পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু তাহের জামিন আবেদন করলে বিচারক মো. আবু বকর সিদ্দিক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। 

এর আগে দুই দিনের রিমান্ড শেষে গত বুধবার (২০ মার্চ) তাকে একই আদালতে হাজির করার পর জামিন আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত জামিন মঞ্জুর না করে তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। 

আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত শুক্রবার ১৫ মার্চ রাতে কুমিল্লা নগরের উত্তর বাগিচাগাঁও এলাকার ‘অরণি’ নামের ভাড়া বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। আত্মহত্যার আগে তিনি নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মানকে দায়ী করেন। ঘটনার পরদিন অবন্তিকার মা তাহ্মিনা শবনম বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। ডিএমপি পুলিশ এ মামলায় ওই দুই জনকে গ্রেপ্তার করে ১৭ মার্চ কুমিল্লা পুলিশে হস্তান্তর করে। পরদিন এ মামলায় সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের একদিন ও সহপাঠী আম্মানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। বর্তমানে দুজনই কুমিল্লা কারাগারে আছেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নুর উর রহমান বলেন, অবন্তিকার আত্মহত্যার বিষয়টি একটি স্পর্শকাতর মামলা। মামলার তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। আম্মান এ মামলার প্রধান আসামি। তিনি জামিনে বের হলে মামলার তদন্ত কার্যক্রম প্রভাবিত করার চেষ্টাসহ মামলার সাক্ষীদের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারেন। তাই আমরা আদালতকে এ বিষয়টি বুঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, ‘ন্যায় বিচারের স্বার্থে আম্মানকে যেন জামিন দেওয়া না হয়। আদালত তা বিবেচনায় নিয়ে জামিন নামঞ্জুর করেছেন।’  

তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. আবু তাহের বলেন, ‘আম্মান এখনো তদন্তে দোষী প্রমাণিত হয়নি। জামিন তার অধিকার। তিনি (আম্মান) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। জামিন পেয়ে তো সে পালিয়ে যাবে না। আমরা বিধি মোতাবেক আবারও জামিন চাইব। 

আরিফ আজগর/এএএ