মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় আরিচা বন্দর এলাকার কাঠপট্টিতে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে কাঠপট্টির ১৫টি ফার্নিচারের দোকান, বসতবাড়ি ও ছ'মিল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ৪টার দিকে কাঠপট্টিতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজকে ভোর রাত ৪টার দিকে একটি কাঠের ফার্নিচারের দোকানে আগুন লাগে। পরে আগুন অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই আগুন পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে কিন্তু আগুনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় শিবালয় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় কাঠপট্টির ১৫টি ফার্নিচারের দোকান, পাশে থাকা একটি কা মিল ও বসতবাড়ি। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।

আরিচা কাঠপট্টিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকতেন শচিন সূত্রধর। বসতবাড়ির সঙ্গেই ছিল কাঠে ফার্নিচারের দোকান। ক্ষতিগ্রস্ত শচিন সূত্রধর বলেন, ভোর রাতে আমার স্ত্রী বাড়ির সবাইকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে এবং বলে পোড়া পোড়া গন্ধ আসছে। পরে ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে দেখি পাশের কাঠের দোকানে আগুন লেগেছে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন অন্য দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। পরনে জামা-কাপড় আর লগে কিছু টাকা ছাড়া এখন কিছুই নেই। আগুনে আমার ফার্নিচারের দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে, সব মিলে প্রায় ২০ লাখ টাকার মত ক্ষতি হয়ে গেল। এখন পরিবার নিয়া কোথায় থাকব, মাথা গোঁজার জায়গাও নেই।

শিবালয় বন্দর ব্যবসায়ী সমিতিরি সভাপতি মো. ইকবার হোসেন বলেন, কাঠপট্টিতে আগুনের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকা মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া অনেক ব্যবসায়ী নিঃস্ব হয়ে গেছেন। আবার অনেকের সংসার চালানোসহ পরিবার নিয়ে মাথাগোঁজা ঠাইটুকু শেষ হয়ে গেছে। আগুনের ঘটনায় প্রায় কোটির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দোকান মালিকরা দাবি করছেন।

শিবালয় উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. নাদির হোসেন জানান, আজকে ভোর রাত ৪টার দিকে সংবাদ পাই আরিচা বন্দর এলাকায় কাঠপট্টিতে আগুন লেগেছে। সঙ্গে সঙ্গে দুইটি ইউনিট নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করি। পরে ঘিওরের আরও একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লাগতে পারে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, তাদের প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে তদন্তের পরে বলা যাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কেমন হবে।

সোহেল হোসেন/আরকে