কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় পুলিশ সদস্য সোহেল রানার ছেলে রাইসুলের (৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

সোমবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে নিখোঁজ সবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, আটজন নিখোঁজ ছিল, আমরা সবাইকে উদ্ধার করেছি। এ পর্যন্ত ১১ জনকে জীবিত ও নদী থেকে আটজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। এ ছাড়া সুবর্ণা বেগম নামে ভৈরবের কমলপুরের এক নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দিনই মারা যান।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উদ্ধার কার্যক্রম সমাপ্ত করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ এসে জানায় কেউ নিখোঁজ আছে তাহলে আমরা আবার উদ্ধার অভিযান শুরু করবো।

প্রসঙ্গত, মেঘনা নদীতে পাশাপাশি দুটি রেল ও একটি সড়ক সেতু রয়েছে। তিনটি সেতুকে ঘিরে ভৈরব প্রান্তে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। ঘাটে বেশ কয়েকটি পর্যটকবাহী নৌকা রয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ নৌকার মাধ্যমে মেঘনা নদীতে ঘুরে বেড়ান। বিশেষ করে শুক্রবার পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে যায়। গত শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটিতে ১৫ থেকে ২০ জন দর্শনার্থী যাত্রা করেন। মাঝনদীতে যাওয়ার পর কয়েকজন যাত্রী ছবি তুলে দেওয়ার জন্য নৌকার মাঝিকে অনুরোধ করেন। তখন তিনি বইঠা ছেড়ে ছবি তুলে দিচ্ছিলেন। এ সময় নৌকাটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। তখন বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী একটি বাল্কহেড নৌকাটিকে ধাক্কা দিলে সেটি উল্টে যায়।

মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/এমজেইউ