বছর তিনেক আগে প্রতিবেশী এক চাচার দেওয়া এক শতক জায়গায় কোনোরকমে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মাচাবান্দা এলাকার আব্দুল মজিদ (৫৫) ও এসমোতারা (৪৫) দম্পতির। আব্দুল মজিদের এক পা বিকল থাকায় কোনো কাজ করতে পারেন না। তাই সংসারের চালাতে ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নেন। 

এই দম্পতির তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। অভাবের সংসারে বড় ছেলে আশরাফুল (১৬) লেখাপড়া করতে পারেনি। ছোট মেয়ে মনিকে (১৪) বিয়ে দিয়েছেন। বাকি আরও দুই ছোট ছেলে রয়েছে পরিবারে। 

এভাবেই ভিক্ষাবৃত্তি করে চার সন্তান ও স্ত্রীর মুখে খারাব তুলে দেন বাবা আব্দুল মজিদ। তবে গত শনিবার ঝড়ে মজিদের থাকার ঘরটি ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। তাই কোনো উপায় না পেয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন তারা।

আব্দুল মজিদের স্ত্রী এসমোতারা বলেন, ‘গত শনিবার হঠাৎ ঝড়োত সব শ্যাষ হয়ে গেইছে। থাকার জায়গাডাও আর নাই। অন্যের জমিতে আশ্রয় নিছি, অনেক কষ্টে ঘর তুলেছি। সেটাও শ্যাষ, এখন থাকমো কই? খামো কি কিছুই ঘরোত নাই।’ 

থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. শহিদুল ইসলাম সবুজ বলেন, সেদিনের ঝড়ে পরিবারটির বাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে পরিবারটি রমনা ইউনিয়নের বাসিন্দা হওয়ার কারণে কিছু করতে পারছি না। তার পরেও চেষ্টা করছি, যদি তাদের জন্য কিছু করতে পারি।

থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সেদিন ঝড়ে আমার ইউনিয়নের অনেক বাড়িঘর গাছপালার ক্ষতি হয়েছে। তিনজন আহতও হয়েছেন। 

চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান শাহীন জানান, আমি খবর পেয়েছি। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ওই পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে।

মো. জুয়েল রানা/এএএ