চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও উপগ্রুপ একাকারের নেতা মইনুল ইসলাম বলেন, চাকরি নয়, তদন্ত কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহারের জন্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ ম্যামের পায়ে ধরেছিলাম। কিন্তু তিনি আমার কথা শোনেননি।

ছাত্রলীগ নেতা বলেন, গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪১তম সিন্ডিকেট সভায় মেরিন সায়েন্স বিভাগে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে আমার কিছু কর্মী উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর ও শাটল ট্রেন অবরোধ করেন। এ ঘটনায় আমাকে প্রধান অভিযুক্ত করে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমি এর আগে অনেকবার ম্যামকে অনুরোধ জানিয়েছে, যে ম্যাম ভুল করেছে। আমাকে ক্ষমা করে দেন। তদন্ত কমিটি থেকে নামটা বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু ম্যাম আমার কথা শোনেননি। সর্বশেষ বুধবার (২০ মার্চ) ম্যামের পায়ে ধরে বলেছিলাম, আপনি মায়ের মতো আমাকে ক্ষমা করে দিন। কিন্তু ম্যাম শুনেনি।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতারের পায়ে ধরে অনুনয় বিনয় করতে দেখা যায় চবির শাখা ছাত্রলীগের সাবেক দুই সহ-সভাপতি মইনুল ইসলাম রাসেল ও মুজিবর রহমানকে। এমন একটি ভিডিও ঢাকা পোস্টের নজরে এসেছে।

গত বুধবার (২০ মার্চ) চবির সাবেক উপাচার্য শিরীণ আখতারের চট্টগ্রাম শহরের কাজীর দেউরি এলাকা সংলগ্ন নিজ বাসার নিচে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, অধ্যাপক শিরীণ লিফট থেকে নেমে নিজ গাড়িতে উঠার জন্য আসছেন। এমন সময চবির শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন নেতা উপাচার্যের পথরোধ করেন। এ সময়ে ভিডিওতে দেখা যায়, শাখা ছাত্রলীগের সাবেক দুই সহ-সভাপতি মইনুল ইসলাম রাসেল ও মুজিবর রহমান উপাচার্যের পায়ে ধরে অনুনয় বিনয় করছেন। এ সময় এ দুই নেতার পাশে ছিলেন আরেক সহ-সভাপতি রোমেল হোসেন। 

এ বিষয়ে জানতে চবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে ভাঙচুরের ঘটনার তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, তদন্তের কাজ চলছে। আমরা নিয়মিত মিটিং করছি। তদন্তের মাঝখানে এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। 

এমএএস