গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে দুই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে কোনাবাড়ীর দেওয়ালিয়াবাড়ী এলাকা থেকে তাসলিমা (৩২) ও মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ইফতারের পর হরিণাচালা মধ্যপাড়া এলাকা থেকে চাঁন মনির (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত তাসলিমা বেগম ভোলার সদর থানার বাংলা বাজার গ্রামের মানিকের স্ত্রী ও চাঁন মনি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থানার দক্ষিণ রহিমপুর গ্রামের কালাচানের মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দেওয়ালিয়াবাড়ী এলাকায় এনামুলের বাসায় ভাড়া থাকতেন তাসলিমা। তিনি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তার স্বামী প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যান থেকে নামিয়ে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে যান। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ আবু ফজল জানান, তাসলিমা নামের এক গৃহবধূকে আনা হয়েছিল। সম্ভবত রাস্তাতেই তার মৃত্যু হয়েছে।

অপরদিকে, গত তিন দিন আগে চাঁন মনি কোনাবাড়ী থানাধীন হরিণাচালা এলাকায় তার বাবার ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন। একই এলাকায় ভাড়া থেকে তার স্বামী চাকরি করলেও চাঁন মনি জামালপুরে স্বামীর বাড়িতে থাকতেন। মঙ্গলবার ইফতারের পর তার স্বামীকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বলেন ‘আমি মারা গেলে আমার লাশ যেন না কাটে’। তার স্বামী দ্রুত বাসায় এসে দেখতে পান রুমের দরজা বন্ধ। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে দেখতে পান চাঁন মনি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলে আছে। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের স্বামী বিপ্লব হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ইফতার করে আমার ওষুধের ফার্মেসিতে চলে যাই। পরে সে (চাঁন মনি) মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বলে সে মারা গেলে লাশ যেন না কাটা হয়। তার এই কথা শুনার পর তাৎক্ষণিক আমি বাড়িওয়ালাকে ফোন করে বলি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

শিহাব খান/এমজেইউ