ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান সরকার।

উচ্ছেদকৃত ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে তিনটি খাবার হোটেল, কনফেশনারি, মুদি দোকানসহ ৩০টি স্থাপনা।

এর আগে চাঁদপুর আধুনিক নৌ বন্দর নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার আগে লঞ্চঘাটে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে উচ্ছেদ করা হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণের অর্থ দেওয়া হয়। এরপরও এসব ব্যবসায়ী অবৈধভাবে লঞ্চঘাটের আশপাশে জায়গা দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।

চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. শাহদাত হোসেন বলেন, ৬৮ শতাংশ সম্পত্তির ওপর ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি পাকা স্থাপনা রয়েছে। বন্দরের সম্পত্তিতে কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকবে না। পর্যায়ক্রমে সবগুলো উচ্ছেদ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ঘাটে বিআইডব্লিউটিএর ক্যান্টিন ছিল। সেটিও আমরা গত জুলাই মাসে উচ্ছেদ করেছি। আপাতত আমাদের অধিগ্রহণকৃত কিংবা পূর্বের জায়গায় কোনো স্থাপনা থাকবে না। সেখানে ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গাও আছে। সেটির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

আনোয়ারুল হক/আরএআর