গাজীপুরের টঙ্গীতে তালাক দেওয়ায় স্ত্রীকে গলা কেটে জখম করেছেন তার সাবেক স্বামী। পরে নিজের গলায় বটি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন সিদ্দিকুল ইসলাম নয়ন নামের ওই ব্যক্তি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে টঙ্গীর পাগাড় ঝিনু মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন গৃহবধূ শিরিনা আক্তার (২৪)। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী থানার খরদু বাসপাড়া এলাকার আব্দুর রশিদের মেয়ে। ঘটনার পর তার স্বামী নয়ন নিজ গলায় বটি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিরিনা পেশায় একজন পোশাক শ্রমিক। প্রায় দশ বছর আগে শিরিনা আক্তার ও নয়নের বিয়ে হয়। তাদের পরিবারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে কয়েকদিন আগে ভাড়া বাসা থেকে বেড়িয়ে যান নয়ন। এরপর গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) গাজীপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়ে স্বামী নয়নকে তালাক দেন শিরিনা। 

তালাকের বিষয়টি জানতে পেরে আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় তার সাবেক স্বামী নয়ন ওই বাসায় আসেন। পরে বটি দিয়ে শিরিনাকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকেন। এতে গুরুতর আহত হন শিরিনা। একপর্যায়ে নয়ন ওই বটি দিয়ে তার নিজ গলায় জখম করেন। বিষয়টি আশপাশের লোকজন দেখতে পেয়ে তাদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

শিরিনা আক্তারের ছোট বোন রিনা আক্তার বলেন, আমার দুলাভাই (নয়ন) কোনো কাজ করতো না। এ নিয়ে আমার বোনের সাথে প্রায়ই ঝগড়া হতো। গত মঙ্গলবার আমার বোন তার স্বামীকে তালাক দেয়। আজ খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছি। 

টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নুসরাত জাহান এ্যানি বলেন, তাদের দুইজনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নয়নের কণ্ঠনালীর কিছু অংশ কেটে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। নয়নের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবো।

শিহাব খান/কেএ