বায়ুদূষণ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে পরিবেশবান্ধব বাইসাইকেল চালিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন মাধাই পাল নামে এক ভারতীয় যুবক। দুই মাসের অনুমতি পেয়ে প্রায় ১১টি জেলা ভ্রমণ শেষে ২৩তম দিনে বরগুনায় পৌঁছেছেন তিনি। 

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা ভ্রমণ শেষে বরগুনায় প্রবেশ করেন মাধাই পাল। পরে স্থানীয় এক বাসিন্দার বাসায় রাত্রিযাপন করেন তিনি।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে বরগুনা শহরের বিভিন্ন সড়কে বাইসাইকেলের সামনে ভারতের ছোট্ট পতাকা ও একটি বার্তা লাগিয়ে তার প্রচার কাজ শুরু করেন। বিশেষ করে বাংলায় কথা বলতে পারায় যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই তাকে ঘিরে উৎসুক মানুষের ভিড় লেগে যাচ্ছে। এ সময় সকলকেই তিনি বায়ুদূষণ রোধ করতে পরিবেশ বান্ধব বাহন সাইকেল ব্যবহার করতে আহ্বান জানান। পরে বরগুনার নিকটতম একটি ইকো ট্যুরিজম অ্যান্ড রিসোর্ট সুরঞ্জনায় প্রবেশ করে সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করেন। এরপর মাধাই পাল খুলনার উদ্দেশ্যে তার সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।

ভারতীয় যুবক মাধাই ঢাকা পোস্টকে জানান, তিনি তার দেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত থাকলেও বর্তমানে কোনো কাজের সাথে যুক্ত নেই। মাধাইয়ের বাবা মারা গেলেও মাসহ তার আরও এক ভাই ও দুই বোন রয়েছে। সমাজের মানুষকে সচেতন করতে সকলের মাঝে বায়ুদূষণ রোধ করতে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে তিনি দেশ ভ্রমণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আর এ কারণেই সাইকেল পরিবেশবান্ধব বাহন হওয়ায় তিনি সাইকেলের সামনে একটি বার্তা লাগিয়ে দেশ ভ্রমণে বের হয়েছেন।

বরগুনার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে মাধাই পাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাংলাদেশ প্রবেশের পর ১২ নম্বর জেলা হিসেবে বরগুনা এসেছি। বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে প্রাকৃতিক তেমন কোন পার্থক্য না থাকায় প্রথমে আমি এ দেশে এসেছি। বাংলাদেশ ভ্রমণের পাশাপাশি আমার মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি সামাজিক বার্তা প্রচার করা যার মাধ্যমে মানুষ সচেতন হবে। এছাড়া ছোট ছোট গন্তব্যে আমরা যদি সাইকেলকে বাহন হিসেবে ব্যবহার করি তাহলে পরিবেশ দূষণ কম হবে। 

সাইকেল নিয়ে ভ্রমণে বের হয়ে কোনো ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন কিনা এবং পরবর্তী কোন দেশে ভ্রমণ করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে আমার দুই মাসের অনুমতি আছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো বাধার সম্মুখীন হয়নি। সব কিছু ঠিক থাকলে বাংলাদেশে ভ্রমণ শেষ করে ভুটান ও শ্রীলঙ্কায় যাব। 

প্রসঙ্গত, মাধাই পাল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিনাজপুর জেলা থেকে গত ৭ মার্চ বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরে রাতে আখাউড়ায় অবস্থান করে (৮ মার্চ) সকাল থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন। 

আব্দুল আলীম/আরএআর