পিরোজপুরে পৃথক দুই ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের ১৮ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে শহরের কৃষ্ণচূড়া মোড় এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে মারামারি ও শহরের রাজারহাট এলাকার নদীর পাড়ে এক কিশোরীকে জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. মুকিত হাসান খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ১৮ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যকে গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারকৃদের অধিকাংশই স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র যাদের বয়স ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। 

পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. মুকিত হাসান খান বলেন, গতকাল শুক্রবার রাতে শহরের কৃষ্ণচূড়া মোড়ে কিশোর গ্রুপের এক সদস্যকে একা পেয়ে অন্য গ্রুপের ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য তাকে লোহার পাইপ, হাতুরি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আহতের স্বজনরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লষণ করে শহরের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে আটক করে।

তিনি আরও বলেন, অন্য একটি ঘটনায় এক কিশোর-কিশোরী বলেশ্বর নদীর পাড়ে ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে এক সঙ্গে ঘুরতে যান। কিশোর গ্যাং তাদেরকে এক সঙ্গে দেখে ধাওয়া করে মেয়েটির থেকে ১৫০০ টাকা নিয়ে যায় ও ছেলেকে জিম্মি করে অজ্ঞাত স্থানে আটক করে তার পরিবারের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। তার পরিবার নিরুপায় হয়ে ৩১০০ টাকা চাঁদা দেন। উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা লিয়াকত আলী সরদার বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ ভুক্তভোগীকে রাজারহাট এলাকার বলেশ্বর নদীর তীরে ওয়াপদার পাড়ে শামিম ভিলা থেকে উদ্ধার করে এবং উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত রাতুল ইসলাম তুর্য (২০), দিব্য মৃধা (২০), শান্ত দত্ত (১৯) নামে তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেন।

কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা অভিভাবকদের ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের তালে পড়ে গ্যাং কালচারে জড়িয়ে পড়ে। তারা ফেসবুক পোস্ট নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছে। পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান পুলিশ সুপার।

আরকে