কক্সবাজার টেকনাফ থেকে অপহরণের ২২ দিন পর অপহৃত মাদরাসার ছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে (৬) কুমিলার লালমাই থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১৭ জনকে আটক করা হয়। শনিবার (৩০ মার্চ) রাতে কুমিলার লালমাই থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। 

এর আগে গত ৯ মার্চ টেকনাফের হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে মাদরাসাছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে অপহরণ করা হয়।
ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ একই এলাকার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর ছেলে ও পূর্ব পানখালী এলাকার আবু হুরাইরা (রা.) মাদরাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র।

আটককৃতরা হলেন, সাদেক, নাগু ডাকাত  লায়লা বেগম (৫৫), উন্মে সালমা (২৪), মোহাম্মদ হাশেম (২৭), খাতিজাতুল খোবরা (৩৫), আয়েশা বেগম (৩২), রনি (১২), নাসির আলম (২৮), হোসনে আরা (২০), উল্লাহ প্রকাশ সোনাইয়া (৪৫), জহির আহমেদ (৬৫), হাসমুল করিম তোহা (২০), মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ (১৯), ফরিদুল আলম খান, আমির হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম তোহা। তারা টেকনাফের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। 

রোববার (৩১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে টেকনাফ মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া-টেকনাফ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল আহমেদ। 

তিনি বলেন, ৯ মার্চ সকালে ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ প্রতিদিনের মতো টেকনাফ উপজেলার স্থানীয় আবু হুরাইরা (রা.) মাদরাসায় পড়তে যায়। দুপুরে মাদরাসার ক্লাস শেষে বাড়ির ফেরার পথে শিশুটিকে থামিয়ে দুর্ঘটনায় মায়ের মাথা ফেটে গেছে বলে জানায় বোরকা পরিহিত অজ্ঞাত এক নারী। পরে ওই নারী শিশুটিকে ফুসলিয়ে একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে শিশুর মা নুরজাহান বেগম থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। এতে এক নারী শিশুটিকে অটোরিকশায় তুলে নিতে যেতে দেখা গেছে। পুলিশ ১০ মার্চ অভিযান চালিয়ে অপহরণ ঘটনায় ব্যবহৃত অটোরিকশার চালক ও সংঘবদ্ধ চক্রের নারী সদস্যসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর ধারাবাহিকতায় ২২ দিনে এসে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধারসহ পুরো চক্রের সদস্যদের আটক করে। মা নুরজাহান বেগম ছেলেকে ফিরিয়ে পেয়ে পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।

সাইদুল ফরহাদ/আরকে