ফেনীতে আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ একটি চোরাই পিকআপের ২১ খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ফেনীর সোনাগাজী মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের আজাদ হোসেন আকাশ (২৩), চরদরবেশ ইউনিয়নের চরসাহাভিকারী গ্রামের সালা উদ্দিন নিশান (২৪), নোয়াখালী সেনবাগ থানার মজুপুর গ্রামের আবদুল আজিজ তারেক (২৪), চট্টগ্রামের মিরসরাই কাটাবিল এলাকার মো. হাসান (১৯) এবং কুমিল্লা দাউদকান্দি সবজিকান্দি গ্রামের ফরহাদুল ইসলাম ফরহাদ (২২)। 

পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, শনিবার (৩০ মার্চ) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনাগাজী পৌর এলাকার তুলাতলীতে আকাশ ডেন্টিং ওয়ার্কসপে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ওয়ার্কসপ থেকে একটি গাড়ির ২১ টুকরা উদ্ধার এবং ওয়ার্কসপের মালিক আজাদ হোসেন আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে এ চক্রে আরও চারজন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আজাদ। 

পুলিশ সুপার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আজাদ জানায়, শুক্রবার চোর চক্রের চার সদস্য একটি পিকআপ চট্টগ্রাম থেকে চুরি করে তার ওয়ার্কসপে এনে ২১ টুকরা করে। সেগুলো কেজি মাপে বিক্রির জন্য তার হেফাজতে রাখেন তারা। পরে সেগুলো বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে আজাদের মাধ্যমে ডেকে এনে চক্রের বাকিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। 

তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তারা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্নস্থান হতে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চুরি করে ওয়ার্কশপে নিয়ে খণ্ড খণ্ড করে ভাঙারি দোকানে বিক্রি করতো বলে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় আরও রহস্য উদঘাটনে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার। 

পিকআপের মালিক নিজাম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পার্কিং-এ থাকা ১২ লাখ টাকার গাড়িটি চুরি করে তারা ভাঙারি হিসেবে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। এ চোর চক্র আমার সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। এ গাড়ির আয় দিয়েই সংসার চলতো আমার। এখন কীভাবে কি করবো কিছুই জানিনা। আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাৎ হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (দাগনভূঞা-সোনাগাজী সার্কেল) তাসলিম হোসাইন, সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায়সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তারেক চৌধুরী/এমএএস