সিলেটে ভালো কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে দুই মাস আটকে রেখে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুস সালামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ডের শুনানিকালে আদালতের বিচারক সুমন ভূইয়া এ আদেশ দেন।

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত)  সুমন কুমার দে।

তিনি বলেন, গতকাল র‍্যাব ওই কিশোরীকে উদ্ধার ও আসামিকে গ্রেপ্তারের পর কোতোয়ালি মডেল থানায় পাঠায়। আজ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আব্দুস সালামকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আসামি আব্দুস সালাম সিলেট নগরীর লালাদিঘীরপাড় ৭০ নম্বর বাসার গাজী আবদুর রহিমের ছেলে। তিনি ১১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন। ধর্ষণের ঘটনায় আব্দুস সালামকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, সিলেট নগরীর ঘাসিটুলার মতিন মিয়ার কলোনির এক কিশোরীকে ভালো কাজ দেওয়ার কথা বলে একই কলোনির বাসিন্দা রেখা বেগম আব্দুস সালামের হাতে তুলে দেন। আবদুস সালাম তার বাসায় আটকে রেখে ২২ দিন  ধর্ষন করে। পরে মেয়েটি মুক্ত হলেও কয়েকদিন পর ফের আব্দুস সালাম মেয়েটিকে তুলে নিয়ে আবদুল মনাফের সহযোগিতায় হবিগঞ্জে আটকে রাখেন। সেখানে আব্দুস সালাম, আবদুল মনাফসহ অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। প্রায় দুই মাস নির্যাতনের পর গত ২৬ মার্চ এক আত্মীয়ের মাধ্যমে কৌশলে বন্দিদশা থেকে পালিয়ে আসে ওই কিশোরী। এ ঘটনায় ২৯ মার্চ কোতোয়ালি মডেল থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন ওই কিশোরীর মা। পরে সোমবার দিবাগত রাতে মামলার প্রধান আসামি আব্দুস সালামকে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা থেকে আটক করে র‍্যাব। 

মাসুদ আহমদ রনি/আরএআর