বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে জেলা সদরের একটি শাখা ছাড়া ছয়টি উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের শাখাসমূহে সকল আর্থিক লেনদেন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনালী ব্যাংকের বান্দরবান প্রিন্সিপাল অফিসের এজিএম মো. ওসমান গণি ঢাকা পোস্টকে জানান, গতকাল মঙ্গলবার জেলার রুমা উপজেলায় এবং আজ থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের দুটি শাখায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে উপজেলার সোনালী ব্যাংকের শাখাসমূহে আর্থিক লেনদেন সাময়িকভাবে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। ব্যাংকে হামলার ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি বলে তিনি জানান। 

প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংক পিএলসি শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ২ কোটি টাকা লুট করেছে। এছাড়াও ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র এবং গুলি লুট করে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে মসজিদ থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই থানচি উপজেলার কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকে পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিম্মি করে সোনালী ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ এবং কৃষি ব্যাংক থেকে ২ লাখ পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

এতে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে দুই উপজেলায়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন। 

আরএআর