কুষ্টিয়া পৌরসভার জন্য আদায়কৃত অর্থ উন্নয়ন কাজে ব্যবহার না করে ভুয়া বিল ভাউচার ব্যবহারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে মেয়র আনোয়ার আলীর বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের সমন্বিত কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা নীলকমল পাল।

সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে মেয়র আনোয়ার আলী, তার স্ত্রী আকতার জাহান, মেয়র পুত্র পারভেজ আনোয়ার ও তার স্ত্রী নওশিন শারমিনের নামীয় স্থাবর সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত রেকর্ডপত্রাদি পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন। অনুসন্ধানের স্বার্থে আগামী ৬ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য গত সোমবার (১ এপ্রিল) জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা রেজিস্ট্রারসহ দেশের বিভিন্ন ব্যাংক বরাবর চিঠি দিয়েছে দুদক।

অতএব, তাদের কোনো প্রকার প্লট, ফ্ল্যাট, দোকান বা কোনো স্থাপনা বরাদ্দ প্রদান করা হয়ে থাকলে সে সংক্রান্ত রেকর্ডপত্রাদির মূলকপি সংরক্ষণপূর্বক ০১ (এক) সেট সত্যায়িত ছায়ালিপি এ পত্র প্রাপ্তির তারিখ হতে ৫ (পাঁচ) কর্মদিবসের মধ্যে অনুসন্ধান কর্মকর্তার কাছে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র জমা দিতে হবে। অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য দুদক সমন্বিত কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা নীলকমল পালকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

দুদকের সমন্বিত কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা নীলকমল পাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা কোনো অভিযোগ পেলে সেটির প্রাথমিক তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই এবং অভিযোগের বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য হাইকমান্ডের অনুমতি চেয়ে আবেদন করি। তাদের অনুমতি সাপেক্ষে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা রেজিস্ট্রারসহ দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিছু নথিসহ তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা হবে। কোনো অনিয়ম এবং অসংগতি পাওয়া গেলে তখন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

রাজু আহমেদ/এমএএস