বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকা অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে রুমা বাজারের সোনালী ব্যাংক পরিদর্শন শেষে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (সিআইডি) মো. শাহনেয়াজ খালেদ এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, কক্সবাজার থেকে দুটি ক্রাইমসিন ইউনিট ঘটনাস্থলে এসেছে তদন্তের জন্য। তারা বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। ব্যাংকে একটি ভল্ট ছিল এবং ভল্টটি দুটি চাবি দিয়ে তালা খুলে রক্ষিত টাকা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকা সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। 

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে  তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপের বিরুদ্ধে রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংক শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ২ কোটি টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র  এবং গুলি লুট করে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে মসজিদ থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। নামাজ চলাকালে মুসল্লিদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় তারা। পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে ব্যাংকের ভোল্টের একটি চাবি ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনের কাছে থাকায় তারা ভল্ট ভাঙতে পারেনি। পরিস্থিতির কারণে ভল্ট না ভেঙে ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে তারা তুলে নিয়ে যায়।

ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মেহেদী হাসানসহ ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এছাড়াও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ চট্টগ্রাম থেকে আশা সিআইডির বিশেষ টিম।

দুপুরে রুমা উপজেলায় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পরিদর্শন চলাকালে থানচি উপজেলার কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকে পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ব্যাংকের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জিম্মি করে সোনালী ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ এবং কৃষি ব্যাংক থেকে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন।

আরএআর