কুড়িগ্রামের উলিপুরে নবজাতক সন্তানকে বিক্রির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে শিশুটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। বুধবার (৩ এপ্রিল) জেলার রাজারহাট উপজেলার নাজিম খান ইউনিয়ন থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে উলিপুর থানা পুলিশ। 

পুলিশ জানায়, উলিপুর উপজেলার মনারকুটি গ্রামের গোলাম হোসেনের স্ত্রী শিরিনা আক্তার ডক্টরস ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে গত ২৩ মার্চ এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। স্বামী খোঁজ না নেওয়ায় ক্ষোভে ক্লিনিকের সিজারের টাকা পরিশোধের জন্য ওই সন্তান ২৬ মার্চ অজ্ঞাত স্থানে বিক্রি করে দেওয়ার কথাবার্তা চূড়ান্ত করেন শিরিনা আক্তার। পরে বিষয়টি নবজাতকের বাবা বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার দুপুরের দিকে নবজাতক সন্তানকে ফিরে পেতে উলিপুর থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে উলিপুর থানা পুলিশের একটি  টিম তদন্তে নামে। পুলিশ জানতে পারে রাজারহাট উপজেলার নাজিমখান ইউনিয়নের রামশিং মুন্সিপাড়া এলাকার পারভিন আক্তারের (৩০) কাছে এক লাখ টাকায় নবজাতককে বিক্রি করেছেন শিরিনা। পরে নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কের মাধ্যমে মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে নবজাতককে উদ্ধার করে তার প্রকৃত বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।

উলিপুর উপজেলার ডক্টরস ক্লিনিকের ম্যানেজার মিল্টন বলেন, বেশ কিছু দিন আগে শিরিনা আক্তার নামে এক নারীর সিজার হয় আমাদের ক্লিনিকে। পরে তার বাড়ির লোকজন ক্লিনিকের বিল প্রায় ১৪ হাজার টাকা পরিশোধ করে তাদের নিয়ে গেছে। পরে কী হয়েছে আর আমরা জানি না।

উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিশুটিকে উদ্ধারের পর শিরিনা আক্তার কান্নায় ভেঙে পড়েন। সন্তানকে ফিরে পেয়ে আনন্দিত তার বাবাসহ আত্মীয়-স্বজনরা। এছাড়াও তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিনের যে বিবাদ ছিল তা মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। 

জুয়েল রানা/আরএআর