পবিত্র মাহে রমজানের শেষ শুক্রবার জুমাতুল বিদা হিসেবে পালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহেও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জুমাতুল বিদা পালিত হয়েছে। 

ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, রমজান মাসের সর্বোত্তম বা উৎকৃষ্ট দিন হলো জুমাতুল বিদা। রমজান মাসের শেষ শুক্রবার জুমাতুল বিদা হিসেবে মুসলিম বিশ্বে পরিচিত। এ মাসের শেষ জুমার দিন পালিত হয় আল কুদস দিবস। তাই দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।

জুমাতুল বিদাকে ঘিরে শুক্রবার নগরীর মসজিদগুলোতে ঢল নামে মুসল্লিদের। তবে সবচেয়ে বড় জামাত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ময়মনসিংহ বড় মসজিদে। আজানের আগেই বিভিন্ন স্থান থেকে আসতে থাকেন মুসল্লিরা। এদিন তিল ধারণের ঠাঁই ছিলো না মসজিদটিতে। তিনতলা পরিপূর্ণ হয়ে বারান্দা, ছাদ, মসজিদের বাইরে দাঁড়িয়ে একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন প্রায় ১০ হাজার মুসল্লি। 

নামাজ শেষে ইহকাল ও পরকালের মুক্তি এবং পাপ ও অকল্যাণ থেকে মুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। একই সঙ্গে মোনাজাতে দেশ ও জাতির সুখ, সমৃদ্ধি, কল্যাণ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি এবং কল্যাণ কামনা করা হয়। নামাজে ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন বড় মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুল হক। 

বড় মসজিদের সানী ইমাম মুফতি রঈসুল ইসলাম কাসেমী বলেন, রমজান মাসে এমনিতেই মুসল্লির সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। আজ বিদায়ী জুমা। জুমা ও রমজান যদি একত্র হয়ে যায় তাহলে এর দ্বিগুণ মর্যাদা যোগ হয়। আর বিদায়ী জুমা বিশেষ গুরুত্ববহন করে। এ কারণে মুসল্লির সংখ্যা আজ অনেক বেশি ছিল। দূর-দূরান্ত থেকে তারা এসেছেন বড় মসজিদে। এখানে একসঙ্গে নামাজ পড়ে তারা তৃপ্তি অনুভব করেন বলেই বড় মসজিদে ছুটে আসেন। সেই সঙ্গে এবার মসজিদটিকে ইতিকাফে বসেছেন ৩৫০ জন মুসল্লি।

উবায়দুল হক/আরএআর