স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেছেন, ডাক্তাররা অনেক সময় অফিস টাইমে নিজের প্রাইভেট চেম্বারে যান। এই কাজটা আপনারা করবেন না। মন্ত্রী মহোদয় ও আমি চেষ্টা করব ঈদের পরে ঝটিকা সফরে বের হতে। সেসময় কাউকে ল্যাবে পেলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবন চত্বরে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জেনারেল হাসপাতাল ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন শুধু স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট ডাক্তার-নার্সদের জন্য না, এটি রোগীদের জন্যও একটি প্রণয়ন করা হয়েছে। যারা চিকিৎসা নিতে আসবে এবং যারা দেবে এই দুই পক্ষের সুরক্ষার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা স্বাস্থ্য বিভাগে কখনই পিছিয়ে থাকব না। আমাদের এই হাসপাতালে যে জনবল আছে, সেটি তৈরি করতে হবে। সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে কাজ করলে জনবল অবশ্যই দিতে পারব। এই দেশকে সুন্দর করার জন্য, দারিদ্র্যমুক্ত করার জন্য, বাধা মুক্ত করার জন্য, ব্যাধি মুক্ত করার জন্য, শঙ্কামুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করে যাচ্ছেন। উনার আশাকে আমরা সফল করব।

এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারক। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (জয়পুরহাট-২), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. তুলসী চন্দ্র রায় প্রমুখ।

মতবিনিময় সভা শেষে জেনারেল হাসপাতালের ফটো থেরাপি সেন্টার চালু করার জন্য তিনটি মেশিন উপহার দেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।

চম্পক কুমার/এএএ