হঠাৎ কালবৈশাখীতে পিরোজপুরে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে কয়েক শ বাড়িঘর। এ সময় খালে পরে অনিল পাল (৮৩) নামে আরও এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে বাড়ির ওপর গাছ পড়ে রুবি বেগম (২৩) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। 

রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরের দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার শারিকতলা ডুমুরিতলা ইউনিয়নের রানিপুর গ্রামের একটি খাল থেকে ওই বৃদ্ধের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সদর উপজেলার শারিকতলা ডুমুরিতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজমির হোসেন মাঝি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঝড়ে নিহত অনিল পাল পিরোজপুর সদর উপজেলার শারিকতলা ডুমুরিতলা ইউনিয়নের রানিপুর গ্রামের মৃত কানাই লাল পালের ছেলে।

সদর উপজেলার শারিকতলা ডুমুরিতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজমির হোসেন মাঝি বলেন, অনিল পাল নামে এক বৃদ্ধ আজ সকালে ঘর থেকে বের হন। পরে হঠাৎ চারিদিকে অন্ধকার হয়ে ঝড় শুরু হলে তাকে দমকা বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে নলবুনিয়া খালে ফেলে দেয়। ঝড় শেষে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করে দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে ওই খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান বলেন, ঝড়ের পরে খালের পানিতে ভাসমান অবস্থায় একটি মরদেহ পাওয়া গেছে। এর আগে ঝড়ে গাছচাপায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।

পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রমজান আলী বলেন, ঝড়ের পরে রুবি বেগম নামে এক নারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। মেহজাবীন নামে ওই নারীর মেয়ে আহত হন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঝড়ে এখন পর্যন্ত ১২ থেকে ১৩ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পিরােজপুর ওজাপাডিকাের নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গাছ ভেঙে বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর পড়ায় তার ছিঁড়ে গেছে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে কর্মীরা কাজ করছে। কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হব তা নিশ্চিত নয়। মধ্যরাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে।

সার্বিক বিষয়ে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে গাছপালা উপড়ে পড়ে পিরোজপুরের সদর উপজেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের জন্য শুকনো খাবার ও ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিহত পরিবারকে সরকারের তরফ থেকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।

শাফিউল মিল্লাত/এএএ