নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আংশিক বাক ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় ইউপি সদস্যসহ ৩ জনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়। 

এর আগে, গতকাল রোববার নির্যাতনের শিকার প্রতিবন্ধী ওই তরুণীর (১৮) মা বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এর আগে, গত শুক্রবার ৫ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। 

কারাগারে প্রেরণকৃতরা হলেন বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন (৪০), গ্রাম পুলিশ মো. আব্বাস (৫০) ও মো. ফরহাদ (২২)।

ভুক্তভোগী তরুণীর মা বলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ফরহাদ আমার মেয়েকে ডেকে পাশের বাড়ির নির্মাণাধীন পাকা ভবনের সিঁড়ির কক্ষে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কাউকে বলতে নিষেধ করে। আমার মেয়ে প্রথমে ঘটনাটি কাউকে জানায়নি। পরদিন শুক্রবার একই সময় ও একই স্থানে আবার ডাকলে প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পেয়ে হাতেনাতে ফরহাদকে আটক করে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক স্থানীয় গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) ও ইউপি সদস্যকে জানিয়ে ফরহাদকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ ফরহাদকে থানায় সোপর্দ না করে টাকার বিনিময়ে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।

ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর পরিবার বলছে সে আংশিক বাক্‌ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। নির্যাতনের শিকার তরুণীর মায়ের অভিযোগ পাওয়া পরপরই থানা-পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ফরহাদ এবং তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করার অভিযোগে ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের শিকার তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে আসামিদের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এরপর বিচারকের নির্দেশে বিকেলে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

হাসিব আল আমিন/এএএ