কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতভর ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। গোলাগুলির শব্দে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকায় হওয়া গোলাগুলির শব্দ শোনা গিয়েছিল।

স্থানীয়রা জানান,  টেকনাফের হোয়াইক্যং উত্তর পাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কাঞ্জর পাড়া, হ্নীলা মৌলভী পাড়া, ওয়াব্রাং, ফুলের ডেইল, চৌধুরী পাড়া, জালিয়া পাড়া এলাকায় সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গুলি ও মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া গেছে। হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমার কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা নামক গ্রামগুলোতে গৃহযুদ্ধ চলছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেছেন, “সারারাত সীমান্তে গোলাগুলি হয়েছে। ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দের কারণে সীমান্তের মানুষ ঘুমাতে পারেনি।”

হোয়াইক্ষং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, “হোয়াইক্যং উত্তর পাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং,কাঞ্জর পাড়া এলাকায় সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গুলি ও মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া গেছে। আমরা মনে করছিলাম দিন যত যাবে পরিস্থিতি ততটা স্বভাবিক হবে। কিন্তু পরিস্থিতি বিপরীত।”

হ্নীলা এলাকার বাসিন্দা তারেক মাহমুদ রনি রসিকতা করে তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে যারা ঈদের ছুটিতে টেকনাফে বাড়িতে ঈদ উৎযাপন করতে এসেছে! মায়ানমার জান্তা বাহিনী তাদেরকে কোটি টাকা মূল্যের বোম ফুটিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে।

সাইদুল ফরহাদ/ এমটিআই