ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দাড়িয়াপুর এলাকায় লাইনচ্যুত হওয়া মালবাহী ট্রেন উদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোরেই আখাউড়া জংশন থেকে আসা উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে গিয়ে কাজ শুরু করে। মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২ টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনায় ট্রেনের সিডিউলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথে যাতায়াত করা ট্রেনগুলো ১ থেকে ২ ঘন্টা বিলম্বে চলছে। ভোর ৬টা পর্যন্তও ঢাকাগামী তিতাস কমিউটার ট্রেন আখাউড়া জংশন থেকে ছেড়ে আসেনি। এছাড়া ভোর ৪টা থেকে চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনটি সকাল ৬টা পর্যন্ত পাঘাচং স্টেশনে যাত্রা বিরতিতে ছিল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের সহকারী মাস্টার শাকিল জাহান উদ্ধার অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আখাউড়া জংশন থেকে রাত সাড়ে ৩ টায় রিলিফ ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসে পৌঁছায়। তবে কাজ শুরু হয়েছে ভোর চারটা থেকে।

এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন মাস্টার জসিম মিয়া মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রাত সোয়া ১২ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দাড়িয়াপুর এলাকার আউটারে ঢাকামুখী ৬০১ মালবাহী কনটেইনারের ২৮ নম্বর বগির পেছনের দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। মেরামত না হওয়া পর্যন্ত ভৈরব থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাঘাচং রেলস্টেশন পর্যন্ত ডাউনলাইন দিয়েই ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথের সব ট্রেন চলাচল করবে।

মাজহারুল করিম অভি/এমটিআই