বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৫২ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হোসাইন এ আদেশ দেন। এর আগে গতকাল দুইজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

বান্দরবান কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো ফজলুল হক জানান এ পর্যন্ত আদালত মোট ৫৪ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন তাদের মধ্যে গতকাল সোমবার (৮ এপ্রিল)  দুইজন কেএনএফ সদস্যকে আদালতে তোলার পর তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত এবং আজকে ৫২ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আটক কেএনএফ সদস্যদের সদর থানা থেকে আদালতে আনা হয়। এ সময় রাস্তার দুই পাশে সতর্ক অবস্থায় পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যদের প্রহরা ছিল লক্ষ করার মতো।

কড়া নিরাপত্তায় প্রথম ধাপে বিকেল ৩টার দিকে থানচি থানার গত ৫ এপ্রিল করা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে আনা হয় আদালতে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রুমা থানায় করা মামলা আটক অন্যদের বান্দরবান সদর থানা হতে আদালতে আনা হয়। তাদের আদালতে হাজির করা হলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হোসাইন।

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী কাজী মহুতল হোসাইন যত্ন বলেন, রুমা এবং থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় দুটি মামলায় পুলিশ ৫১ জন আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করে। এ সময় আসামিপক্ষে কোনো জামিনের দরখাস্ত না থাকায় বিচারক আসামিদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে আদালতের অনুমতি নিয়ে আসামিপক্ষে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার জন্য আসামিদের উকালতনামায় দস্তখত নিয়েছি। ঈদের পর কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আসামিদের পক্ষে জামিনের শুনানি হবে। 

এদিকে গতকাল যৌথ অভিযানে আটক ৪৯ জনের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা এলিজাবেথ বম নামে একজনকে মানবিক বিবেচনায় থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমি। 

তিনি বলেন, মানবিক বিবেচনায় শর্তসাপেক্ষে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাকে নজরদারিতে রাখবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যৌথ অভিযান চলমান থাকবে। 

শহীদুল ইসলাম/আরএআর