ফরিদপুরে চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীর স্রোতে ভেসে যাওয়ার সময় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে ভেসে গেছেন বাবা শাহাদাত খান (৫৩)। বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের গোপালপুর ঘাট থেকে আনুমানিক ৭০০ মিটার দূরে পদ্মা নদীর ড্রেজিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা পদ্মা নদীতে ভেসে যাওয়া শাহাদাতকে উদ্ধার করতে পারেননি। তাকে কে উদ্ধারে অভিযান চলছে। শাহাদাত খান চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের বাদুল্লা মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা কুটি খানের ছেলে। তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা।

স্থানীয়রা জানান,শাহাদাত পেশায় একজন পোশাক ব্যবসায়ী। তিনি সপরিবারে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় বসবাস করেন। গ্রামের বাড়িতে ঈদ করবেন বলে শাহাদাত তার স্ত্রী ও সন্তানদের গত সোমবার গ্রামের বাড়ি চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের বাদুল্লা মাতুব্বরের ডাঙ্গীতে পাঠিয়ে দেন। বুধবার সকালে তিনি ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। বিকেল ৩টার দিকে শাহাদাত তার ছোট ছেলে হাফিজুর রহমান সিয়াম (১৬) এবং ভাতিজা তানভীর খানকে নিয়ে গোপালপুর ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে যান।

হাফিজুর রহমান সিয়াম জানায়, সাঁতার কাটতে কাটতে সে একপর্যায়ে নদীর স্রোতে ভেসে যেতে থাকে। এ সময় তার বাবা সাঁতরে তাকে উদ্ধার করে নদীর পাড়ে আসার সময় একটি নৌকার মাঝিরা প্রথমে তাকে উদ্ধার করে। কিন্তু তার বাবা নদীর স্রোতে ভেসে যায়।

এলাকাবাসী জানায়, প্রথমে তারা নদীতে নেমে শাহাদাতকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। পরে চরভদ্রাসন দমকল বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কজে অংশ নেয়। এরপর ফরিদপুর দমকল বাহিনীর দুই ডুবরি এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেন।

চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার মুর্তজা ফকির বলেন, এখন পর্যন্ত পদ্মা নদীতে নিখোঁজ শাহাদাতের সন্ধান পাওয়া যায়নি। ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযানে পরিচালনা করছেন।

তিনি বলেন, নদীতে স্রোত খুব বেশি। এজন্য স্রোতে কতদূর তাকে (শাহাদাত) ভাসিয়ে নিয়ে গেছে তা বোঝা যাচ্ছে না। উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

জহির হোসেন/আরএআর