বরগুনা পৌরসভার বরিয়ালপাড়া এলাকার বাসিন্দা অসহায় পিয়ারা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপরে পিয়ারা বেগমের বাড়িতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবার সামগ্রী, কাপড় ও নগদ টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়।  

গত ৮ এপ্রিল ‘স্বামীকে বাঁচাতে একাই লড়ছেন ৭০ বছরের পিয়ারা বেগম’ শিরোনামে ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নজরে আসে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম মিঞার। পরে তিনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পিয়ারা বেগমকে সহায়তা করেন। অসহায়দের মাঝে বিতরণের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত চাল, দেশি মশুর ডাল, চিনি, সয়াবিন তেল, মরিচ ও হলুদের গুঁড়া তার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। এছাড়াও ঈদ উপলক্ষ্যে সেমাই, শাড়ি ও নগদ ১ হাজার টাকাও দেওয়া হয় পিয়ারা বেগমকে।

বরগুনা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদ স্মৃতি সড়কের বরিয়ালপাড়া এলাকার বাসিন্দা পিয়ারা বেগম। তার স্বামী আব্দুল মালেক প্রায় ৩০ বছর ধরে পৌরসভার ঝাড়ুদার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে তিনি এখন শয্যশায়ী। তার চিকিৎসা খরচ বহন করতে প্রায় ৭০ বছর বয়সী স্ত্রী পিয়ারা বেগম একাই লড়াই করছেন। একবার মিনি স্ট্রোক করার পরও অসুস্থতা নিয়েই পৌরসভার ঝাড়ুদার হিসেবে কাজ করেন তিনি। তিন ছেলে ও এক মেয়ে থাকলেও দারিদ্যের কারণে এক টাকাও দিতে পারেন না পিয়ারা বেগমকে। এতে পৌরসভা থেকে পিয়ারা বেগম যে বেতন পান তা দিয়ে ঠিকমতো নিজের ও স্বামীর ওষুধ কেনার খরচ হয় না। মাঝে মধ্যে ঘরে খাবার না থাকায় না খেয়েও দিন কাটাতে হয় তাদের।

বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম মিঞা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশের পর পিয়ারা বেগমকে তাৎক্ষণিকভাবে সরকারি বরাদ্দকৃত শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাকে নগদ কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আরও খোঁজ নিয়ে তাকে যে ধরনের সহযোগিতা করা যায় সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

আব্দুল আলীম/আরএআর