বগুড়ায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পাওয়া ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ শিল্পকর্মের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর শিল্পকর্ম এখন শুধু বাংলাদেশের নয়, এটি চীনের করা রেকর্ড ভেঙে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করে নিয়েছে। এই শস্যচিত্র হল বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর সেরা উপহার।’

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। সোনার বাংলা বিনির্মাণে যারা বাধা দেবে তাদের শিকড় থেকে উপরে ফেলা হবে। দেশের মানুষের জন্য কাজ করছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় এসছে, তখনই দেশের উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ শিল্পকর্মের ধান কাটা উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দুপুরে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানিপুর ইউনিয়নের বালেন্দা গ্রামের মাঠে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।

১০০ বিঘার উপর রোপণ করা সবুজ ও বেগুনি জাতের দুই ধরনের ধানগাছে পাখির চোখে ফুটে উঠা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবয়বের ধানগাছের শীষ ভরে গেছে ধানে। আর সেই পরিপক্ক ধান কাটা উৎসবের উদ্বোধন করা হয় আজ।

অতিথিদের ধান কাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসব

ধান কাটা উৎসবের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের আহ্বায়ক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কৃষকলীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বাবু নির্মল রঞ্জন গুহ, শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের সদস্য সচিব কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাকের পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ বগুড়া শাখার সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সম্পাদক রাগেবুল আহসান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু প্রমুখ।

বক্তব্য শেষে অতিথিদের ধান কাটার মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু হয়। এই শিল্পকর্মের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এই ধান কাহালু ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার প্রসেসিং সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে ধান প্রসেসিং করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এই ধান পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে মোট ধানের ৭৫ ভাগ জমা দেওয়া হবে। বাকি ২৫ ভাগ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষের মাঝে স্মারক হিসেবে প্রদান করা হবে।

জানা যায়, গত ১৬ মার্চ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান করে নেয় ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ এই শিল্পকর্ম। চীনের একটি রেকর্ড ভেঙে গিনেস বুকে নতুন এ রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। গত ২৯ জানুয়ারি শেরপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম বালেন্দার মাঠে উদ্বোধন করা হয় ধান রোপণের।

বালেন্দা গ্রামে ১২০ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে শুরু হয় শস্যচিত্র তৈরির কাজ। চীন থেকে আমদানি করা বেগুনি ধান ও দেশি সবুজ হাইব্রিড ১৬ মার্চ গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ ইমেইল বার্তায় স্থান করে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে সারাদেশের মতো বগুড়াবাসীদের মাঝে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়।

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ও উচ্চ ফলনশীল দুই ধরনের ধানের চারা রোপণের মাধ্যমে এই কর্মযজ্ঞের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

সাখাওয়াত হোসেন জনি/এমএসআর